দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ পারদ পতন অব্যাহত। শীত বাড়ছে রাজ্য থেকে রাজধানী ৷ দক্ষিণবঙ্গ তো বটেই, বৃহস্পতিবার কলকাতাতেও জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়েছে। এদিন শহরের তাপমাত্রা ১২.৭ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড, যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। জেলায় আরও ২-৩ ডিগ্রি কম। উত্তুরে হাওয়ার দাপটেই এই পারদ পতন বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
বৃহস্পতিবার রেকর্ড ঠান্ডা পড়ল দিল্লিতে । পিছনে ফেলে দিল বুধবারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রাকেও। গতকাল রাজধানীর তাপমাত্রা ছিল ৪.৪ ডিগ্রি। সেখানে আজ আরও কমে ৩ ডিগ্রিতে এসে দাঁড়িয়েছে। সকালের বুলেটিনে এমনটাই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। একইসঙ্গে খবর, আগামী কয়েকদিন দিল্লিতে এমনই হাড়কাঁপানো ঠান্ডা থাকবে।
এই প্রথম ১২ ঘরে নেমেছে কলকাতার তাপমাত্রা। আর আজই মরশুমের শীতলতম দিন।
দফতর জানিয়েছে, শুধু সর্বনিম্ন নয়,আজ সারাদিনই স্বাভাবিকের থেকে কম থাকতে পারে তাপমাত্রা। কোনও ঝঞ্ঝা না থাকায় উত্তুরে হাওয়া সরাসরি ঢুকতে পারছে বঙ্গে, ফলে তাপমাত্রা কম থাকারই সম্ভাবনা রয়েছে। সকালের দিকে কুয়াশা থাকলেও বেলা বাড়লে রোদ উঠবে। আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২১.৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড বলে জানা গেছে।
কলকাতা-সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি কুয়াশায় ঢেকেছে উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকাও। সঙ্গে ঠান্ডার কামড়ও বেড়েছে পাল্লা দিয়ে। আগামী দুই-তিনদিনের এই আবহাওয়া পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানিয়েছে দফতর।
তবে কুয়াশার কারণে সমস্যা হচ্ছে দূরপাল্লার ট্রেন চলাচলে। কুয়াশা ও ঠান্ডা হাওয়ার জোড়া দাপটে শীতে কাঁপছে ডুয়ার্সও। বৃহস্পতিবার সেখানে তাপমাত্রার পারদ নেমেছে ১০ ডিগ্রির নিচে। ঠান্ডায় রীতিমত জুবুথুবু অবস্থা। এককথায় হাড়-কাঁপুনি শীতে গোটা বাংলাতেই যে কাঁপুনি ধরেছে, তা বলাই বাহুল্য।
গোটা দিল্লি শহর ঢেকে গিয়েছে কুয়াশার চাদরে। যার ফলে কমে গিয়েছে দৃশ্যমানতাও। ভোরবেলা দৃশ্যমানতা ছিল পালামে ২৫ মিটার এবং সফদরজংয়ে ৫০ মিটার। কুয়াশার কারণে যানবাহন এবং ট্রেন চলাচলে বেশ বিঘ্ন ঘটছে। এমনকী বিমান পরিষেবাতেও দেরি হয়ে যাচ্ছে।
তবে যেখানে সফদরজংয়ের ৩ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে রীতিমতো জবুথবু সবাই, সেখানে নয়াদিল্লির আয়ানগরে তাপমাত্রা আরও কম – ২.২ ডিগ্রি। এছাড়াও, উজওয়া এবং লোধি রোড এলাকায় রেকর্ড পারদ পতন হয়ে তাপমাত্রা নেমে দাঁড়িয়েছে ২.৩ এবং ২.৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে।
ইতিমধ্যেই দিল্লির ঠান্ডার কাছে হার মেনেছে দেহরাদুন, ধরমশালাও। গতকালই ওই শৈলশহরগুলিকে পিছনে ফেলে দিয়েছিল দেশের রাজধানী। বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা আরও কমে যাওয়ায় অবাক আবহাওয়া দফতরের কর্তারাও। সেখানে শৈত্যপ্রবাহের সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। আগামী তিন-চারদিন রাজধানীর আবহাওয়া এরকমই থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।