দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ আগামী চার দিনে বাংলায় শীত কমবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন আবহবিদেরা। সে ক্ষেত্রে তাপমাত্রা দুই থেকে চার ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে। তাই শীতের দুপুরে রোদের আমেজ নিয়ে বাঙালির পিঠে খাওয়ার মজাতে শীঘ্রই ভাটা পড়ার সম্ভাবনা।
রাজ্যে জাঁকিয়ে ঠান্ডার দেখা নেই এখনও পর্যন্ত। ঠান্ডার ওঠানামা লেগেই চলেছে। এরপর আবার বৃষ্টির ভ্রূকুটি।
পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে পারদ বেশ খানিকটাই বেড়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের খবর অনুযায়ী, আাগামী সপ্তাহ থেকে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
শুক্রবারের তুলনায় তাপমাত্রা ফের ১ ডিগ্রি বাড়ল। ভোরের দিকে কুয়াশার দেখা মিললেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিষ্কার হবে আকাশ। শনিবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। একই সঙ্গে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা বেড়ে ২৭ ডিগ্রি পর্যন্ত হতে পারে।
আবহাওয়া দফতরের বক্তব্য, ১১ জানুয়ারি, মঙ্গলবার গঙ্গা তীরবর্তী জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।
শুক্রবার আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ফের রাজ্যে হানা দিতে চলেছে পশ্চিমী ঝঞ্ঝা। আর এই ঝঞ্ঝার ধাক্কায় ১১ থেকে ১৪ জানুয়ারি উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আর তাতেই এ বছরের মতো শীতের দাপট কমতে পারে বলেই মত আবহবিদদের। অসময়ের এই বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কৃষকরা।
মৌসম ভবনের সূত্রে জানতে পারা গিয়েছে শনিবার ও রবিবার জম্মু-কাশ্মীর, লাদাখ , গিলগিট বালটিস্তান , মুজফ্ফরবাদের বিভিন্ন এলাকায় ভরী বৃষ্টিপাতের সতর্কতা রয়েছে ৷
৯ জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত হিমাচল প্রদেশে হালকা তুষারপাত হবে ৷ উত্তর পশ্চিম সংলগ্ন মধ্য ভারতে তৎসহ আরব সাগর সংলগ্ন ট্রোপোস্ফিয়ারে আদ্রতা ক্রমেই জমছে এই পরিস্থিতি আগামী কয়েকদিন বজায় থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে ৷
আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জানতে পারা গিয়েছে পঞ্জাব , হরিয়ানা , চণ্ডীগড় , দিল্লি , উত্তর রাজস্থান , উত্তরপ্রদেশে , ৯ জানুয়ারি ২০২২ পর্যন্ত হালকা বৃষ্টিপাতের সতর্কতা আছে ৷