দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ঘূর্ণাবর্তের জেরে আজ ২৮ ও আগামিকাল ২৯ তারিখ ভারী বৃষ্টি হবে বলে পূর্বাভাস আগেই দিয়েছিল হাওয়া অফিস৷সবেমাত্র ঘূর্ণিঝড় গুলাবের রেশ কেটেছে আর তার মধ্যেই রাজ্যের সামনে এসে উপস্থিত নতুন বিপদ।
হাওয়া অফিস বলছে মায়ানমার উপকূলের কাছে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তা বাংলার উপকূলের দিকে চলে আসবে। আর তার জেরেই আজ থেকে দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে চলবে বৃষ্টি।
সোমবার হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা বৃষ্টি হয়েছে। তবে ২৮ সেপ্টেম্বর ও ২৯ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ আজ ও বুধবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আজ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে দুই মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। এছাড়া কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রাম ও উত্তর ২৪ পরগনার দু’এক জায়গায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
২৯ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ বুধবারও একইরকমভাবে বৃষ্টি হবে। এদিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে রাজ্যের পশ্চিমের জেলাগুলিতে। ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুরে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এছাড়া উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি ও কলকাতাতেও ভারী বৃষ্টির সর্তকতা জারি থাকছে।
উপকূলীয় এলাকায় ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে দমকা হওয়া বইতে পারে বলে সতর্ক করছে আবহাওয়া দফতর। ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মৎসজীবীদের সমুদ্রে মাছ ধরতে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
দক্ষিণ ভাসলেও উত্তরবঙ্গে আপাতত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। তবে কোনও না কোনও জায়গায় বর্ষার বৃষ্টি হবে।
আজ কলকাতাতেও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কলকাতার আকাশ মূলত মেঘলা থাকবে।
আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিকের ১ ডিগ্রি বেশি। অন্যদিকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩২.৬ ডিগ্রি ডিগ্রি সেলসিয়াস, স্বাভাবিক বলছে হাওয়া অফিস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৯৬ শতাংশ। সর্বনিম্ন ৭২ শতাংশ।
শহরে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় অতিবৃষ্টির কারণে কলকাতা পৌরনিগম এলাকার নীচু জায়গাগুলিতে ফের জল জমার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে অন্ধ্র উপকূলে তাণ্ডব চালিয়ে এখন সামান্য নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় গুলাব। ওড়িশা এবং অন্ধ্রের জেলাগুলিতে চলছে বৃষ্টি। তবে তার দাপটও খুব বেশি আর নেই। অবশ্য ঘূর্ণিঝড় গুলাব বাংলায় সেরকম প্রভাব ফেলতে পারেনি।
গুলাব কিছুটা দুর্বল হলেও নতুন করে নিম্নচাপের প্রভাবে তেলেঙ্গনার বিভিন্ন অংশে প্রবল বর্ষণের আশঙ্কা রয়েছে।