দেশেরসময় ওয়েবডেস্কঃ উষ্ণতম মকর সংক্রান্তি দেখেছে রাজ্য। গত সপ্তাহের শেষদিকে তাপমাত্রা বেড়ে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। শীতের কনকনে মেজাজ যেন কর্পূরের মতো উধাও হয়ে গিয়েছিল। মকর সংক্রান্তির আগেও কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকায় তাপমাত্রার পারদ ছিল ঊর্ধ্বমুখী। কিন্তু মঙ্গলবার থেকে তাপমাত্রা কিছুটা নিম্নমুখী হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া অফিস সূত্রের খবর, বুধবার রাজ্যের কিছু জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের পূর্বাঞ্চলীয় অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে, বঙ্গোপসাগরে বিপরীত ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। তার জেরে তৈরি হয়েছে জলীয় বাষ্প। এর ফলে হালকা বর্ষণের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের কয়েকটি এলাকায়।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। উপকূলের দুই জেলা বাদ দিলে বাকি দক্ষিণবঙ্গে আগামী চার দিন শুষ্ক ও পরিষ্কার আবহাওয়া থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোরের দিকে গোটা রাজ্যে হালকা কুয়াশার সম্ভাবনা থাকছে। আজ রাত থেকে বুধবার দুপুর পর্যন্ত পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগণায় হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রাতের তাপমাত্রা খানিক কমলেও আর জাঁকিয়ে শীত পড়ার সম্ভাবনা নেই। কাল থেকে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ভোরে কলকাতায় হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রধানত পরিস্কার আকাশ। সোমবার রাতের তাপমাত্রা ১৬.৩ ডিগ্রি থেকে সামান্য কমে ১৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়েছে। সোমবার দিনের তাপমাত্রা ২৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই তাপমাত্রা বেশ কিছুটা কমে ২৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়ায় হয়েছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছেন, দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি কম।
উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রে আগামী পাঁচ দিন শুষ্ক ও পরিষ্কার আবহাওয়া। কলকাতা তথা দক্ষিণবঙ্গে তাপমাত্রার তেমন কোন তারতম্য দেখা না গেলেও হাঁড় কাঁপানো ঠান্ডা উত্তরবঙ্গে। দার্জিলিঙের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে চলে গিয়েছে, এমনটাই খবর। দার্জিলিঙে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই খুশি পর্যটকরা। দার্জিলিং ও কালিম্পঙের পার্বত্য এলাকায় হালকা বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা থাকছে। উত্তরবঙ্গে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই কম থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। এখনও জানুয়ারি মাস শেষ হয়নি। পিঠেপুলি খাওয়ার পাশাপাশি বাঙালির মনে এখনও পিকনিকের আমেজ রয়েছেই। সেই কারণে শীত চলে যাওয়া মন খারাপ অনেকের।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, শক্তিশালী উচ্চচাপ বলয়ের কারণে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প ঢুকে পড়েছে দক্ষিণবঙ্গে। পূর্ব ভারতের ঝাড়খণ্ড, বিহারের কনকনে ঠান্ডা হাওয়ার সঙ্গে সংঘাতে তৈরি হচ্ছে আঞ্চলিক মেঘ পুঞ্জ। সেই কারণেই এই অকাল বৃষ্টিপাত বলে মনে করা হচ্ছে।