এবার শিক্ষা দপ্তরের তথ্য ভাণ্ডারে ” অ্যাকসেস ‘ বা প্রবেশাধিকার চাইলো রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা দপ্তর ( ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চ) । গোয়েন্দা কর্তাদের যুক্তি , এর ফলে সংশ্লিষ্ট মানব সম্পদের চাকরি সংক্রান্ত নানা খুঁটি নাটি। যাচাই করার কাজটি সুগম হবে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি আই বি ‘ র এডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ তথা ইন্সপেকটর জেনারেল অফ পুলিশ এই মর্মে একটি জরুরী চিঠি দিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের শীর্ষ কর্তাকে। তাতেই তিনি এই “অভূতপূর্ব ” অনুরোধ করেছেন।
রাজ্যের এক প্রবীণ আমলার কথায়, ” সাধারণ ভাবে এই প্রবেশাধিকার পাওয়ার অনুরোধ খানিকটা আমাদের কাছে অভূতপূর্বই ঠেকেছে। কারণ, যে কোন প্রশাসনিক দপ্তরে কোনো বিশেষ ঘটনা, অসঙ্গতির কোনো অভিযোগ থাকলে, পুলিশি বা উর্দি বাহিনী ছানবিন বা তদন্তের স্বার্থে ডাটা ব্যাংকের কোনো কোনো দিক দেখার অনুমতি চাইতেই পারে। তবে পুরো ডাটা ব্যাংকের চাবিকাঠি গোয়েন্দাদের হাতে তুলে দেওয়ার মতো ঘটনা বেশ চমকপ্রদ বটেই!”
গোয়েন্দা কর্তা তার চিঠিতে শিক্ষা কর্তাকে কি লিখেছেন? ওই চিঠির বক্তব্য, ” পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের আই বি রাজ্য সরকারের যাবতীয় নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সফল প্রার্থীদের ইতিবৃত্তান্ত বা পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের কাজগুলি করার নোডাল এজেন্সি। সেই প্রেক্ষিতে যদি আমরা আপনাদের দপ্তরের তথ্য ভাণ্ডারে “অ্যাকসেস” পাই, তা আমাদের এই কাজগুলি দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করার ক্ষেত্রে অনুঘটকের কাজ করবে। অনেক সময়ও বাঁচবে।”
বিষয়টি মসৃণ করার জন্যে আই বি কর্তা স্পেশাল সুপারিনটেন্ডেট অফ পুলিস পদমর্যাদার একজন সিনিয়র অফিসারকেও নোডাল অফিসার হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। তার নাম ও ফোন নম্বরও এই চিঠিতে দেওয়া হয়েছে। চিঠিতে অবশ্য গোয়েন্দা কর্তা এটাও জানিয়েছেন যে পরিস্থিতি ও প্রয়োজন অনুযায়ী শিক্ষা দপ্তরের তথ্য ভান্ডারের যেটুকু অংশ দরকার সেই টুকুরই খতিয়ান নেবে আই বি। তবে এর জন্য সর্বাগ্রে দরকার তথ্য ভান্ডারের পূর্ণাঙ্গ “অ্যাকসেস” .
অন্য এক সরকারি কর্তা বলেন, ” ইদানিং রাজ্যে নানা ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতির নানা অভিযোগ উঠছে। শিক্ষক – অশিক্ষক কর্মীদের নিয়োগ নিয়েও তদন্তে নেমেছে সি বি আই বা ই ডি ” র মত দুঁদে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। তাই দুর্নীতি রোধে এবার কোমর বেঁধে নামছে রাজ্যের গোয়েন্দারা। আর ‘সত্যান্বেষী’ হিসাবে সত্যের সন্ধানে আগে তো দরকার তথ্য বা হার্ড ইনফরমেশনের। না হলে তো হোঁচট খেতে হবে প্রতি পদে! “