- দেশের সময়: হেরে যাওয়ার ভয়ে ব্যালট খেয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল শাসক প্রার্থীর বিরুদ্ধে। হাবরার ঘটনায় তাজ্জব হয়েছিল গোটা বাংলা। হাবরার ভুরকুণ্ডার সেই বুথে ভোট বাতিল করল নির্বাচন কমিশন। হেরে যাওয়ার ভয়ে ব্যালট খেয়ে নিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মহাদেব মাটি। সেই বুথ-সহ চারটি বুথে ফের ভোটের নির্দেশ।
ঘটনার সূত্রপাত, গণনার দিন একেবারে চলছিল হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। চার ভোটের ব্যবধান। এগিয়ে যাচ্ছিলেন সিপিএম প্রার্থী। এ তো এক্কেবারে প্রেস্টিজিয়াস ব্যাপার। তড়িঘড়ি চারটি ব্যালট ধরে মুখে পুড়ে নিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী। অভিযোগ অন্তত তেমনই ছিল৷ গণনাকেন্দ্রের টেবিলের ওপর পড়ে থাকা চারটি ব্যালট হঠাৎ করে তুলে মুখে পুড়ে নিয়েছিলেন শাসকদলের প্রার্থী। তাতেই হাতের মুঠোয় চলে আসে জয়।
উত্তর ২৪পরগনার হাবরার ভুরকুণ্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩১ নম্বর বুথের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই তাজ্জব বনে গিয়েছিল গোটা বাংলা।
ঘটনার আকস্মিকতায় হকচকিয়ে গিয়েছিলেন সেই সিপিএম প্রার্থী-সহ ওই বুথে সাকা সকলেই। সিপিএমের তরফ থেকে বিষয়টি নিয়ে জোর সওয়াল করতে থাকেন। অবশেষে জেলাশাসকের তরফে রিপোর্ট দেওয়া হয়। তাতে ঘটনার বিবরণ থাকে। সেই রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে নির্বাচন বাতিল করে দেয় কমিশন।
তবে এখনও পর্যন্ত পরবর্তী নির্বাচনের দিন জানানো হয়নি। তবে যেহেতু ব্যালটপেপার নষ্ট করা হয়েছে, ছেঁড়া হয়েছে, গিলে খেলার মতোও অভিযোগ উঠেছে, তাই এই বুথ -সহ মোট চারটি বুথে ভোট বাতিল করে দেওয়া হয়।
উত্তর ২৪ পরগনার এই বুথটি বাদ দিয়েও আরও তিনটি জায়গায় নতুন করে নির্বাচনের কথা ঘোষণা করবে কমিশন। একই সঙ্গে হাওড়ার প্রায় ১৫টি বুথে ও সিঙ্গুরের একটি বুথে ভোট বাতিল করা হয়েছে।
মূলত তিনটি জেলার তিনটি ব্লকেই বাতিল হয়েছে ভোট। উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া ২, হাওড়ার সাঁকরাইল এবং হুগলির সিঙ্গুর। কারণ হিসাবে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এই তিন ব্লকেই ব্যালট বেশ কিছু বুথে ব্যালট পেপার নষ্ট করা হয়েছে। তার জন্যই ভোট বাতিল করা হল। এই তিন ব্লকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বুথে ভোট বাতিল হয়েছে হাওড়ার সাঁকরাইলে। মোট ১৫ বুথে ভোট বাতিল করা হয়েছে সেখানে। এর পরেই রয়েছে হাবড়া ২। সেখানকারই ভুরকুণ্ডা গ্রামের ৩১ নম্বর বুথের তৃণমূল প্রার্থী ছিলেন মহাদেব। মহাদেবের ওই বুথ-সহ মোট ৪টি বুথের ভোট বাতিল হয়েছে এই ব্লকে। এ ছাড়া সিঙ্গুরে একটি বুথে ভোট বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন।