দেশের সময়ওয়েবডেস্কঃ আজ, শুক্রবার কলকাতা -র আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। হতে পারে বৃষ্টি। সেইসঙ্গে উত্তর এবং দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরে ভ্যাপসা গরম প্রবল ভোগাচ্ছে কলকাতা -কে। বৃষ্টি হলেও গরম কাটছে না। বলা যায়, ঘেমেনেয়ে নাজেহাল শহরবাসী। তবে এই পরিস্থিতির বদল হবে না বিশেষ। দিন কয়েকের আগে স্বস্তি নেই বললেই চলে। কারণ ভারী বৃষ্টি হবে না। আবহাওয়া দফতরের তেমনই অনুমান।
আবাহাওয়াবিদরা জানাচ্ছেন, কলকাতা -য় আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে। আগামী দিন কয়েক এই পরিস্থিতিই বজায় থাকতে পারে। আজ শুক্রবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি থাকতে পারে। জানিয়েছে আলিপুর আবাহাওয়া দফতর।
কেমন পরিস্থিতি থাকতে পারে দক্ষিণবঙ্গে
আলিপুর আবাহওয়া দফতরের অনুমান, দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। সেইসঙ্গে হতে পারে বজ্রপাতও। উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমানের মতো জেলাগুলোয় এমন পরিস্থিতি থাকবে।
দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় আগামী কয়েকদিন এমন অবস্থা থাকতে পারে বলে জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তবে পরিস্থিতি পাল্টাতে পারে ২৯ জুলাইয়ের পর থেকে।
আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় আগামী কয়েকদিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ারের মত জেলা বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩.৯ ডিগ্রি সেলসিয়ায়। যা স্বাভাবিকের থেকে ২ ডিগ্রি বেশি। শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি বেশি। শুক্রবার কলকাতার সর্বোচ্চ আপেক্ষিক আর্দ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৬৪ শতাংশ।
১৬ জুন রাতভর বৃষ্টি হয়েছিল কলকাতায়। ফলে যা আশঙ্কা করা হয়েছিল, তা-ই হয়েছিল। জলবন্দি হয়ে পড়েছিল কলকাতার বিভিন্ন অংশ। ফের কয়েকদিন টানা বৃষ্টির কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। ফলে মানুষের মনে ফের তৈরি হয়েছে শঙ্কা।
আবহাওয়া দফতর পরামর্শ দিয়েছিল, বাড়িতেই থাকুন। কারণ বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ১৬ জুনের বৃষ্টিতে কলকাতার বিভিন্ন এলাকা জলের তলায় চলে গিয়েছিল। কলকাতার বালিগঞ্জ সার্কুলার রোড, লাউডন স্ট্রিট, সাদার্ন অ্যাভিনিউ, কসবা, সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ, ঠনঠনিয়া, কসবা, বেহালা, টালিগঞ্জের মতো জায়গায় জল জমে যায়।