দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ আজ শনিবার সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা।শুক্রবার গভীর রাতে একাধিক এলাকায় বজ্রবিদ্যুৎ–সহ ঝড়বৃষ্টি হয়েছে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, শনিবারও কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ–সহ ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। ঘণ্টায় ৩০–৪০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে দমকা ঝোড়ো হাওয়া।
কলকাতার আকাশ শুক্রবার থেকেই মেঘলা। শনিবার শহরে বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। শনিবার সকালে শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৩ ডিগ্রি কম। শুক্রবার দিনের তাপমাত্রা ছিল ২৯.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ৫ ডিগ্রি কম। এদিন বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ ৬১ থেকে ৯৩ শতাংশ থাকতে পারে। আলিপুরে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮.৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কালিম্পংয়ের কিছু অংশে শনিবার ভারী বৃষ্টির পাশাপাশি বজ্রপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। কিছু এলাকায় হতে পারে শিলাবৃষ্টিও। ৩০–৪০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে দমকা হাওয়া। অবশ্য রবিবার থেকেই বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। বাড়বে তাপমাত্রা। সোমবার থেকে শুষ্ক আবহাওয়ার দেখা মিলবে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে।
বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম,পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়াতে রয়েছে শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা। সারাদিনই রাজ্যের আবহাওয়া থাকবে দুর্যোগপূর্ণ। এদিকে বৃষ্টিপাতের জেরে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, ২ তারিখ থেকেই বৃষ্টিপাত সামান্য কমবে। কিন্তু, রবিবারও কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে কিছুটা একই রকম পরিস্থিতি থাকতে পারে। ৩ তারিখ অর্থাৎ আগামী সপ্তাহের শুরুর দিনেই বদলে যাবে আবহাওয়া। বৃষ্টিপাত পুরোপুরি বন্ধ হবে।
আগামী সপ্তাহে নতুন করে বৃষ্টিপাতের কোনও পূর্বাভাস এখনও পাওয়া যায়নি। সেক্ষেত্রে বৃষ্টি বন্ধ হওয়ার কয়েকদিন পর কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলির তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
শনিবার শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে হিমাচল প্রদেশ, পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডিগড়, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান এবং বিহারে। এড়াও সিকিমেও হতে পারে বৃষ্টিপাত। ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস জম্মু-কাশ্মীর, মোজাফফরাবাদ, হিমাচলপ্রদেশ, উত্তরাখন্ড, অসম ও মেঘালয়ে।
দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলিতে আগামী ৪-৫ দিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বজ্রবিদ্যুৎসহ বৃষ্টি হবে মধ্য ভারত এবং পশ্চিম ভারতের রাজ্যগুলিতেও।