

রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় সোমবার সকালে আকস্মিক বজ্র-বিদ্যুৎ সহ প্রবল ঝড়বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। কলকাতা সহ দুই ২৪ পরগনা,হাওড়া , হুগলি , নদিয়া, বীরভূম, বাঁকুড়া, পশ্চিম ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় আজ সকাল থেকে পরবর্তী কয়েক ঘণ্টা বজ্রপাতসহ মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ৩০-৪০ কিমি পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। দেখুন ভিডিও
সোমবার দুপুর গড়ানোর আগেই রাজ্যের নানা প্রান্তে বজ্রপাত সহ বৃষ্টি নেমেছে । ভারি বৃষ্টির জেরে ইতিমধ্যেই জল জমে গিয়েছে বিভিন্ন রাস্তায় । অনেক জায়গায় গাছ পড়ার খবর মিলেছে। কলকাতার পার্ক সার্কাস, হাওড়ার সাঁকরাইল , বনগাঁ সহ নদিয়ার কৃষ্ণনগরে বিকট শব্দে বজ্রপাত ঘটেছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

আবহাওয়া দপ্তর ‘ইয়েলো অ্যালার্ট’ জারি করে জানিয়েছে জনসাধারণকে নিরাপদ স্থানে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খোলা জায়গা, খোলা মাঠ বা জলাশয়ের ধারে না যাওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।

আকস্মিক বজ্রাঘাতে প্রাণহানির সম্ভাবনা।
যানচলাচলে ব্যাঘাত।
বিদ্যুৎ পরিষেবায় বিঘ্ন।

প্রশাসনেরপরামর্শ:
বজ্রঝড় চলাকালীন গৃহে অবস্থান করুন।
বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি বন্ধ রাখুন।
পরিস্থিতির উপর নজর রাখুন এবং স্থানীয় প্রশাসনের নির্দেশ মেনে চলুন।

এখনও পর্যন্ত বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই, তবে প্রশাসন সতর্ক। দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখছে রাজ্য সরকার।
দুয়ারে বর্ষা। আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে উত্তরবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করতে পারে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। ১৬ বছরের রেকর্ড ভেঙে নির্ধারিত সময়ের আট দিন আগেই কেরালায় ঢুকেছে বর্ষা। এ বার তার বাংলায় ঢোকার পালা। পাশাপাশি সপ্তাহের প্রথম দিনেই উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর জানাচ্ছে, মৌসুমী বায়ুর ঢোকার অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়েছে রাজ্যে। আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জে বর্ষা পৌঁছেছিল ১৩ মে। নির্ধারিত দিনের আগেই কেরালাতেও বর্ষামঙ্গল। বাংলাতেও আগাম বর্ষার সম্ভাবনার কথা জানাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর। একইসঙ্গে উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলিতেও ঢুকে যাবে বর্ষা।

এর পাশপাশি পশ্চিম মধ্য ও উত্তর বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন এলাকায় আগামীকাল অর্থাৎ ২৭ মে, মঙ্গলবার একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে চলেছে। পরবর্তী দু’দিনের মধ্যে আরও শক্তি বাড়াবে এই নিম্নচাপ। আপাতত এর অভিমুখ উত্তর বঙ্গোপসাগরের দিকে। শক্তি বাড়িয়ে শেষ পর্যন্ত এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় কি না সেই দিকে নিবিড় নজরদারি মৌসম ভবনের। ওডিশা, গুজরাট, রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশে সক্রিয় রয়েছে আরও একটি ঘূর্ণাবর্ত।
