দেশের সময় : শীতের কামড় নেই, আমেজ আছে। শীতের আমেজ থাকলেও চিন্তা একটাই, আর কতদিন এই আমেজ থাকবে ? এনিয়ে ‘নানা মুনি না মত’।তবে যাবতীয় ধোঁয়াশায় যবনিকা টানল হাওয়া অফিস।
ঠান্ডায় হু হু করে কাঁপতে কাঁপতে গরম কফি উপভোগ করার স্বপ্ন দক্ষিণবঙ্গবাসীর আদৌ এই মরশুমে পূরণ হবে তো? তা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। শনিবার থেকে তাপমাত্রা বেড়েছে এক ধাক্কায় অনেকটাই। রবিবারও আবহাওয়ার বিশেষ কোনও বদলের সম্ভাবনা নেই বলেই জানাচ্ছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর ।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, সপ্তাহের শেষে জমাটি শীত না থাকলেও কুয়াশার বাড়বাড়ন্ত দেখা যাবে। সকাল থেকেই ঘন কুয়াশার চাদরে মোড়া থাকবে শহর কলকাতা। তবে বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে দৃশ্যমানতা বাড়তে পারে। সোম ও মঙ্গলবার ফের বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গে। পাশাপাশি উত্তরবঙ্গে সোমবার বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি সব জেলাতেই।
রবিবার শহরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকতে পারে ১৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি। এদিন বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সর্বাধিক ৯৪ শতাংশ এবং সর্বনিম্ন ৪৭ শতাংশ। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
চলতি মরশুমে সেভাবে শীতের দেখা পাওয়া যায়নি। এর আধদিন কনকনে ঠান্ডা পড়লেও থিতু হয়নি শীত। এদিকে শীতের মরশুম প্রায় শেষের পথে। অনেকেরই প্রশ্ন, তবে কি আগামী সপ্তাহে শীতের কোনও ঝোড়ো ইনিংস সাধারণ মানুষ প্রত্যাশা করতে পারে?
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আপাতত জমিয়ে ঠান্ডা পড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। সেভাবে আর নামবে না তাপমাত্রার পারদ। কবে ভোরে ও রাতে হালকা শীতের আমেজ বজায় থাকবে। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে থাকবে কুয়াশার দাপট। তবে বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে দৃশ্যমানতা বাড়তে পারে।
উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় সকালের দিকে কুয়াশার দাপট থাকবে। ঘন কুয়াশার সতর্কবার্তা রয়েছে একাধিক জেলায়। দার্জিলিং এবং কালিম্পঙে রয়েছে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। এছাড়াও উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে আপাতত বড় কোনও হাওয়া বদলের সম্ভাবনা খুবই কম। ঠান্ডা থাকবে। তবে নতুন করে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা কম।
ফেব্রুয়ারির শুরু থেকেই ভারী তুষারপাত হিমাচল প্রদেশ জুড়ে। টানা কয়েকদিনের তুষারপাতে কয়েক ফুট বরফের চাদরে ঢাকা পড়েছে একাধিক জেলা। বন্ধ জাতীয় সড়ক সহ বহু রাস্তা। ব্যাহত বিদ্যুৎ পরিষেবাও।
আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, আগামী দুইদিন ভারী তুষারপাত জারি থাকবে হিমাচলে। এর জন্য কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এর মাঝেই ৪ ফেব্রুয়ারি কুলু, চাম্বা, সিমলা এবং কিন্নর জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি ও তুষারপাত চলবে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, হিমাচলে তুষারপাতের জেরে ৫০৪টি রাস্তা বন্ধ রয়েছে। সবেচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে সিমলায়। এখানকার ২৫০টি রাস্তা বরফে ঢেকে গিয়েছে। ফলে যান চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। রাজ্যের একাধিক এলাকা বিদ্যুৎহীন। রাস্তা থেকে বরফ সরানোর কাজ চলছে জোরকদমে। তবে খারাপ আবহাওয়ার কারণে একটানা কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।