দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বাংলায় যখন তৃণমূল ঝড় চলছে ঠিক তখনই দিনহাটায় শেষ বিধানসভা নির্বাচনে মাত্র ৫৭ ভোটের ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল বিজেপি। রাত পোহালেই রাজ্যে ৪ কেন্দ্রে নির্বাচন। ঘাসফুলের জোয়ারের মধ্যে বিজেপি কি দিনহাটায় এই ৫৭ ভোটের গরিমা ধরে রাখতে পারবে নাকি কমল-দুর্গের দর্প চূর্ণ হবে ঝড়ের তোড়ে, আপাতত প্রশ্ন এটাই।
রাত পোহালেই রাজ্যের বাকি চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। শান্তিপুর দিনহাটা গোসাবা ও খড়দহে আগামিকাল ভোটগ্রহণ। এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুর, জঙ্গিপুর এবং সামশেরগঞ্জে ভোটগ্রহণ হয়েছিল। যেখানে হ্যাটট্রিক করেছিল তৃণমূল, ফাঁকা হাতে ফিরতে হয়েছিল বিজেপিকে। তবে একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল অনুযায়ী শান্তিপুর এবং দিনহাটায় এগিয়ে বিজেপি। ওই আসনে নিজেদের জয় ছিনিয়ে আনতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে, গোসাবা ও খড়দহে একুশের ভোটে জয়ী হয় তৃণমূল। কিন্তু উপনির্বাচনে চারে চার হওয়ার আশায় জোড়াফুল শিবির।
এদিকে ভোটের আগে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে কেন্দ্রগুলি। ১০০ শতাংশ বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে বলে জানা গিয়েছে। অবাধ ও সুষ্ঠ ভোট করাতে বদ্ধপরিকর কমিশন। নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, প্রতিটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে যদি একটি মাত্র বুথ থাকে তাহলে চার জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জাওয়ান থাকবেন। যদি দুটি বুথ থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে আট জন জওয়ান থাকবেন। পাঁচটা থেকে আটটা বুথ থাকলে ১৬ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন থাকবেন। নয় বা তার বেশি বুথ থাকলে ২৪ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান থাকবে। এদিকে দিনহাটায় ২৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, খড়দহের ২০ কোম্পানি, শান্তিপুরে ২২ কোম্পানি ও গোসাবায় ২৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
এই চার আসনের মধ্যে হাই প্রোফাইল কেন্দ্র খড়দহ। সেখানে তৃণমূলের প্রার্থী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় উল্টোদিকে বিজেপির তরুণ মুখ জয় সাহা। খড়দহে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের কাজল সিনহা। কিন্তু তাঁর মৃত্যু হয়। তার ফলেই এই আসনে ফের ভোট হচ্ছে। অন্যদিকে, গোসাবায় তৃণমূলের প্রার্থী সুব্রত মণ্ডল, বিজেপির প্রার্থী পলাশ রাহা এবং আরএসপির প্রার্থী অনিল চন্দ্র মণ্ডল। একুশের ভোটে এখানে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের জয়ন্ত নস্কর। কিন্তু তাঁরও মৃত্যুর ফলে এই আসনের উপনির্বাচন হচ্ছে। অন্যদিকে, শান্তিপুরে এবারের তৃণমূল প্রার্থী ব্রজকিশোর গোস্বামী, বিজেপির তরফে দাঁড় করানো হয়েছে নিরঞ্জন বিশ্বাসকে। বামেদের প্রার্থী সৌমেন মাহাতো এবং কংগ্রেস প্রার্থী রাজু পাল। এই আসনে চতুর্মুখী লড়াই হতে চলেছে। একুশের ভোটে বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার এই আসনে জয়লাভ করেন। কিন্তু পরে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হন তিনি। যাঁর ফলে তাঁকে বিধায়ক পদ ছাড়তে হয়। দিনহাটা একুশের ভোটে মাত্র ৫৭ ভোটে উদয়ন গুহকে হারিয়ে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপির নিশীথ প্রামানিক। এবার এই আসনে বিজেপি প্রার্থী করেছে অশোক মণ্ডলকে। বামেদের প্রার্থী আব্দুল রউফ ও তৃণমূল উদয়ন গুহকেই ফের এখানে প্রার্থী করেছে।