দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ এবার বড়সড় ধাক্কা গেরুয়া শিবিরে।
রাজ্য বিজেপির সব হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ থেকে লেফট হলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। জানালেন, ‘বর্তমান রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের আমাদের আর প্রয়োজন নেই। মন্ত্রিত্ব ছাড়ব কিনা পরে জানাব।’ এরই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘মতুয়া ভোটে ভর করেই বিধানসভা নির্বাচনে ভোট বাড়িয়েছে বিজেপি।’
এর আগে দলের সাংগঠনিক পদে মতুয়াদের কাউকে না বসানোয় পাঁচ মতুয়া বিধায়ক গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়েছিলেন। ওই সময় মতুয়ারা অভিযোগ করেছিলেন, ‘ভোটের সময় মতুয়াদের ব্যবহার করা হয়। দলের সাংগঠনিক পদে তাদের বসানো হয় না।’ অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক সুখেন্দ্রনাথ গায়েন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন, ‘এখন থেকে মতুয়ারা আর কোনও রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করবে না।’
শান্তনুর ক্ষোভের কারণ, বিজেপি-র নতুন রাজ্য পদাধিকারীমণ্ডলী এবং জেলা সভাপতিদের মধ্যে মতুয়া প্রতিনিধি না থাকা। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, শান্তনু দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে রাজ্য পদাধিকারীমণ্ডলীতে মতুয়া প্রতিনিধি আনার দাবি জানান। সেই সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও তাঁর দাবি মানা হয়নি।
যদিও ঠাকুর পরিবারের সদস্য মমতাবালা ঠাকুর কয়েকদিন আগেই শান্তনুকে ‘ঘরে ফেরার’ কথা বলেছিলেন। তারপরেই বনগাঁর সাংসদের বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ লেফট। যার ফলে জল্পনা বাড়ছে। তবে কি তৃণমূলে ফিরবেন সারা ভারত মতুয়া মহাসঙ্ঘের সভাধিপতি শান্তনু ঠাকুর? প্রশ্ন উঠছে।
সূত্রের খবর, সোমবার বিজেপি-র গ্রুপ ছাড়ার পর শান্তনু ঠাকুর বলেন, “বঙ্গ বিজেপি-র বর্তমান নেতৃত্বের শান্তনু ঠাকুর বা মতুয়া সমাজের ভোট নিষ্প্রয়োজন। তাই আমারও ওই সব গ্রুপে থাকার দরকার নেই। সময়মতো সব জবাব দেব।” কয়েক দিন আগে বিজেপি-র পাঁচ বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, অশোক কীর্তনীয়া, অসীম সরকার, অম্বিকা রায় এবং মুকুটমণি অধিকারীও দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার তাঁদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসে ‘চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত’ নেবেন বলে জানা গিয়েছে।