ব্যাঙ্ক প্রতারণার মামলাতেই ভিডিয়োকনের সিইও বেণলুগোপাল ধুতকে গ্রেফতার করল সিবিআই। গত সপ্তাহেই আইসিআইসি ব্যাঙ্কের এমডি চন্দা কোছর এবং তাঁর স্বামী দীপক কোছরকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ গ্রেফতার হলেন ভিডিয়োকন-এর সিইও (Videocon CEO)। ব্যাঙ্ক প্রতারণার মামলাতেই ভিডিয়োকনের সিইও বেণলুগোপাল ধুতকে (Venugopal Dhoot) গ্রেফতার করল সিবিআই। আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক থেকে অনৈতিক ভাবে বড় অঙ্কের ঋণ নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
এই মামলায় দু’দিন আগেই আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের প্রাক্তন ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও ছন্দা কোচারকে গ্রেফতার করে সিবিআই। একইসঙ্গে তাঁর ব্যবসায়ী স্বামী দীপক কোচারকেও গ্রেফতার করা হয়। গতকাল, রবিবার চন্দা এবং তাঁর স্বামী দীপককে মুম্বইয়ের বিশেষ আদালতে হাজির করিয়েছিল সিবিআই।তিন দিনের সিবিআই হেফাজতে আছেন তাঁরা।
এবার ধরা পড়লেন বেণুগোপালও। আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক থেকে ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকার ঋণ নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
সিবিআই সূত্রের খবর, বেনুগোপাল ধূতের ভিডিওকন গোষ্ঠী সবমিলিয়ে ২৮টি লোনের প্রস্তাব জমা দিয়েছিল আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের কাছে। তাদের মধ্যে আটটি প্রস্তাব অনুমোদন পায়। ২০০৯-১০ সালে ছন্দা কোচার তখন ক্ষমতায় ছিলেন। অনৈতিকভাবে এই বিপুল অঙ্কের লোন পাইয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তাঁর স্বামীরও প্রভাব ছিল বলে অভিযোগ।
পরবর্তীকালে অভিযোগ ওঠে, বিপুল অঙ্কের সেই লোনগুলি ব্যাঙ্কের নীতি লঙ্ঘন করে অনুমোদন করেছিলেন কোচার দম্পতি। তার বদলে তাঁরা ব্যক্তিগত সুবিধা গ্রহণ করেছেন ভিডিওকনের থেকে। এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পরে, ২০১৯ সালে তদন্ত শুরু করে সিবিআই। সিবিআইয়ের পাশাপাশি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটও (ইডি) এই আর্থিক প্রতারণার মামলা শুরু করে। শেষ পর্যন্ত তারা দীপক কোচারকে গ্রেফতার করে।
এর পর থেকেই তদন্তে একের পর এক তথ্য উঠে আসতে থাকে। জানা যায়, ভিডিওকন গ্রুপকে যে লোন দিয়েছিল আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক, তার মধ্যে ৬৪ কোটি টাকা দীপক কোচারের কোম্পানির হাতে তুলে দেন বেণুগোপাল ধূত। ছন্দা কোচারকেও মুম্বইয়ে একটি ফ্ল্যাট কিনে দেয় ভিডিওকন, দেয় বিপুল সম্পত্তিও।
এদিকে ভিডিওকন গোষ্ঠীকে যে লোন দেওয়া হয়েছিল, তা ‘নন পারফর্মিং অ্যাসেট’-এ পরিণত হয়। এর পরে ব্যাঙ্কের সিইও ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদ থেকে ইস্তফাও দেন ছন্দা কোচার। তবে শেষরক্ষা হয়নি, সামনে চলেই আসে এই বিপুল দুর্নীতি। শেষমেশ সিবিআইয়ের জালে ধৃত এই ঘটনায় অভিযুক্ত তিন বড় বিজনেস টাইকুনই।