দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ভোটের তিন মাস আগেই কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বলেছিলেন, উত্তরপ্রদেশে ৪০ শতাংশ মহিলা প্রার্থী দেবে কংগ্রেস। ভোট ঘোষণা হতে দফায় দফায় প্রার্থী তালিকা ঘোষণা শুরু হয়েছে। তাতে দেখা গেল, উন্নাওয়ের ধর্ষিতা নিহত তরুণীর মাকে প্রার্থী করল কংগ্রেস।
উন্নাও গণধর্ষণ কাণ্ড তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল জাতীয় রাজনীতিতে। ওই ধর্ষণে মূল অভিযুক্ত ছিলেন বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গার। তার যাবজ্জীবন কারদণ্ড হয়েছে। এবার সেই তরুণীর মাকে উন্নাও বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করল কংগ্রেস।
প্রিয়ঙ্কা বলেছেন, “আমাদের প্রার্থী তালিকা বার্তা দেবে, যে ভাবে নির্যাতিতার পরিবারের উপর অত্যাচার হয়েছে তার বিরুদ্ধে কংগ্রেস রয়েছে।” অর্থাৎ শুধু কথার কথা নয়। ভোটের ময়দানে ধর্ষিতা হয়ে নিহত হওয়া তরুণীর মাকে সরাসরি ভোটের লড়াইয়ে নামাল কংগ্রেস। অনেকের মতে, প্রচারে কংগ্রেস এটা তুলে ধরার চেষ্টা করবে, যে ধর্ষণের জন্য জেল খাটছে সে ছিল বিজেপির বিধায়ক। আর নির্যাতিতার মা কংগ্রেসের প্রার্থী।
মহিলা ক্ষমতায়নের প্রশ্নে যে কংগ্রেস বিশেষ ভাবে উত্তরপ্রদেশের ভোটকে দেখতে চাইছে তা আগেই স্পষ্ট করেছিলেন প্রিয়ঙ্কা। তিনি স্লোগান দিয়েছেন, ‘লড়কি হু, লড় সকতি হু।’ এক্ষেত্রেও কংগ্রেস সেটাই করল।
কংগ্রেসের বক্তব্য, যোগী আদিত্যনাথের জমানায় উত্তরপ্রদেশে মহিলাদের উপর যে ভাবে অপরাধের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে তা সাঙ্ঘাতিক। সেই কারণেই এবার উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস এত বেশি আসনে মহিলা প্রার্থী দিচ্ছে। যাতে মহিলারা নিয়ন্ত্রকের জায়গা নিতে পারেন।
প্রসঙ্গত,২০১৭ সালে ১৯ বছরের এক যুবতীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে বিজেপি বিধায়ক কুলদীপ সিং সেঙ্গরের বিরুদ্ধে। বিজেপি বিধায়কের বাড়িতেই ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ তোল হয়। অভিযোগ নিয়ে তোলা হয়। এর পর জুলাই মাসের ২৮ তারিখে ওই যুবতী ও তাঁর পরিবারের সদস্যতা একটি গাড়ি দুর্ঘটনার মুখে পড়েন। তাতে পরিবারের দুই সদস্যের মৃত্যু হয়। আক্রান্ত যুবতী গুরুতর আহত হন। তাতে ফের যেন আগুনে ঘি পড়ে। বিজেপি-র বারবার মুখ পোড়ে এই ঘটনায়। যোগী সরকারও শেষে কড়া পদক্ষেপ করতে বাধ্য হয়।