দেশের সময়: বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপের জেরে বাংলার উপকূল এলাকায় যে ব্যাপক ঝড়বৃষ্টি হবে সে বিষয়ে আগেই সতর্ক করেছে আলিপুরের হাওয়া অফিস। শুক্রবার দুপুরে সুন্দরবনে দেখা গেল প্রকৃতির তাণ্ডব। মাত্র ৩০ সেকেন্ডের টর্নেডোয় ( লন্ডভন্ড হয়ে গেল সন্দেশখালি ৷
সূত্রের খবর, এদিন আচমকাই সুন্দরবনের সন্দেশখালি ১ নং ব্লকের সরবেড়িয়া-আগারহাটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ধেয়ে আসে টর্নেডো। ৩০ সেকেন্ডের ঝড়ে লন্ডভন্ড হয় যায় সন্দেশখালির বিস্তৃর্ণ এলাকা।
এদিন সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লকের সরবেড়িয়া আগারহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতে হঠাৎ টর্নেডো দেখা দেয়। মাত্র ৩০ সেকেন্ড স্থায়ী হয়েছে সেই ঝড়। কিন্তু তাতেই চারদিক লন্ডভন্ড হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাঁচশোর বেশি বাড়িঘর। উপড়ে পড়েছে বিদ্যুতের খুঁটি। যার জেরে ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
ঝড় থামলে তৃণমূল ব্লক সভাপতি শেখ শাহজাহানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যায়। দেখা গেছে গোটা এলাকার বিধ্বস্ত অবস্থা। বেশিরভাগ বাড়ির টিনের চাল ঝড়ে উড়ে গেছে। রাস্তায় উপড়ে পড়ে রয়েছে বড় বড় গাছ এবং বিদ্যুতের খুঁটি। যাঁদের ঘরবাড়ি ভেঙে গিয়েছে তাঁদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, ঘরছাড়া হয়েছেন প্রায় ২ হাজার স্থানীয় বাসিন্দা। আচমকা এই টর্নেডোয় সন্দেশখালিতে কয়েক লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে খবর।
ক্ষতিগ্রস্তদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। তাঁদের জন্য ত্রাণের ব্যবস্থাও করেছে স্থানীয় প্রশাসন। শিশুদের দেওয়া হয়েছে শুকনো খাবার, বিস্কুট ও গুঁড়ো দুধ। বড়দের জন্য ভাত ও খিচুড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলিকে ঘিরে দেওয়া হয়েছে ত্রিপল দিয়ে। কয়েক সেকেন্ডের বিধ্বংসী এই ঝড়ে সন্দেশখালিজুড়ে এখন শুধুই হাহাকার। মাথা গোঁজার আশ্রয়টুকুও হারিয়ে ফেলেছেন মানুষ।
আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে শনিবার পর্যন্ত বাংলার উপকূল এলাকায় ঝড়বৃষ্টি চলবে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূল ঘেঁষা এলাকায় বইতে পারে ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া।