দেশের সময় ,উত্তর ২৪ পরগনা: নবজোয়ার কর্মসূচির প্রস্তুতিসভায় অনুপস্থিত বুথ সভাপতিদের সরিয়ে দিতে নির্দেশ জেলা তৃণমূল সভাপতি বিশ্বজিৎ দাসের ৷ বিশ্বজিতের এই বক্তব্য ঘিরে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচি চলছে। টানা ২ মাস রাজ্যের সমস্ত জেলায় ঘুরবেন দলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
রবিবার এই কর্মসূচির ২০তম দিনে পূর্ব বর্ধমানে কর্মসূচি করেন অভিষেক। অন্যদিকে আগামীদিনে যেসব জায়গায় এই নবজোয়ার আসবে, সেসব জায়গায় চলছে প্রস্তুতিসভা। এরকমই এক প্রস্তুতিসভা ছিল উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁয়। নীলদর্পণ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের আয়োজনে বুথস্তরের কর্মীদের নিয়ে এদিন ধর্মপুকুরিয়া গ্রামপঞ্চায়েতের চাঁদা হাইস্কুল মাঠে সভা হয়।
সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে বনগাঁ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, এই প্রস্তুতি সভা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এরপর গ্রামপঞ্চায়েতের নাম করে যাঁরা এসেছেন তাঁদের হাত তুলতে বলেন। জানতে চান কতজন বুথ সভাপতি আছেন? দেখেন সেখানে অনুপস্থিত কেউ কেউ। তাতে অত্যন্ত বিরক্ত হন বিধায়ক।
নীলদর্পণ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কালীপদ মণ্ডলকে নাম করেই বলেন, “এরকম একটা গুরুত্বপূর্ণ সভায় যে সকল বুথ সভাপতি আসতে পারেননি, তাঁদের তালিকা দেখুন। তাঁরা হয়ত অন্য কাজে ব্যস্ত। আপনি তাঁদের দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রাখুন, অঞ্চল কমিটিতে থাকুক, বুথ সভাপতি আপনি বদলে দিন।”
এ নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিরোধীরা। বনগাঁ জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল এ নিয়ে কটাক্ষ করে বলেন, “তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচির প্রস্তুতি সভায় বুথ সভাপতিরা আসছে না। এরপর তো পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীও খুঁজে পাবে না।” যদিও পরে এ নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “৭০ থেকে ৮০ শতাংশ বুথ সভাপতি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। একটা বাদ দিয়ে বাকি পঞ্চায়েতে ঠিক ছিল। ৬টার মধ্যে ৫টা পঞ্চায়েতেরই বুথ সভাপতি ছিলেন। একটায় ছিলেন না। ব্লক সভাপতিদের নির্দেশ দিয়েছি যাঁরা আসেননি খতিয়ে দেখে যেখানে বদল দরকার বদল করবেন। সমস্যা দেখে নেবেন ওনারা।”