দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ অর্পিতা ঘোষের ইস্তফা দেওয়ার ফলে বাংলা থেকে যে রাজ্যসভার আসনটি খালি হয়েছিল তাতে প্রার্থী ঘোষণা করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। শনিবার সর্বভারতীয় তৃণমূলের টুইটার হ্যান্ডল থেকে টুইট করে জানানো হয়েছে, ওই আসনে তৃণমূল মনোনয়ন দিচ্ছে গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলারিওকে। মাস দুয়েক আগেই কলকাতায় এসে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা লুইজিনহো।
এই আসনেই ২০২০ সালে অর্পিতাকে রাজ্যসভায় পাঠান মমতা। চলতি বছর ১৫ সেপ্টেম্বর রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। এরপর থেকেই এই আসনটি ফাঁকা ছিল।
এদিকে এই আসনে বিজেপি কোনও প্রার্থী দেয় নাকি এখন সেটাই দেখার। এর আগে সুস্মিতা দেবের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেয়নি বিজেপি। তার ফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন সুস্মিতা। আর এই আসনে প্রার্থী দিলেও এই আসনে জয় নিশ্চিত তৃণমূলের। ভোটগণনা হবে ভোটের দিন বিকেলেই। এদিকে রাজ্যসভার এই তৃণমূল প্রার্থী ইতিমধ্যেই কলকাতায় এসেছেন।
এই নিয়ে পরপর দুটি আসনে বাংলার বাইরে থেকে রাজ্যসভায় পাঠাল তৃণমূল। এর আগে দীনেশ ত্রিবেদীর আসনে অসমের সুস্মিতা দেবকে সংসদের উচ্চকক্ষে পাঠিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে মনোনয়ন দিল তৃণমূল।
সুস্মিতাকে ত্রিপুরার সাংগঠনিক দায়িত্ব দিয়েছে তৃণমূল। ওই রাজ্যের পাশেই অসমের শিলচরের ভূমিকন্যা তিনি। ত্রিপুরার মতোই এবার গোয়াকে পাখির চোখ করেছে বাংলার শাসকদল। পরের বছর গোড়াতেই গোয়া বিধানসভার ভোট রয়েছে। ইতিমধ্যে তিন দিনের গোয়া সফরও সেরেছেন মমতা। কয়েকদিনের মধ্যেই সেখানে যাওয়ার কথা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। এবার সেই গোয়া থেকেই রাজ্যসভার প্রার্থী বাছল তৃণমূল। অনেকের মতে, সর্বভারতীয় স্তরে দলকে তুলে ধরতেই অসম ও গোয়া থেকে রাজ্যসভায় প্রতিনিধি পাঠাল তৃণমূল।
আরও একটি তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, সুস্মিতা এবং লুইজিনহো দু’জনেই দীর্ঘদিন কংগ্রেস করেছেন। তারপর তাঁরা যোগ দেন তৃণমূলে। কলকাতায় এসে গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, টুকরো হয়ে যাওয়া কংগ্রেসকে তিনি এক জায়গায় আনতে চান।
পর্যবেক্ষকদের মতে, গোয়ার ভোটেও তৃণমূল তুলে ধরতে চাইবে লুইজিনহোকে রাজ্যসভায় মনোনয়ন দেওয়ার বিষয়টি। আঞ্চলিক গণ্ডি থেকে বেরিয়ে তৃণমূল সর্বভারতীয় দল হয়েছে। তবে তা নির্বাচন কমিশনের স্বীকৃতি। জনমানসে এবার সেই ধারণাই তৈরি করতে চাইছে কালীঘাট। কারণ তৃণমূলের পাখির চোখ ২০২৪।