দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়ে কাবু করা যায়নি জ়িনতকে। গুলি বাঘিনির শরীরে বিঁধেছে কি না, তা-ই স্পষ্ট নয়। গুলি ছোড়ার পরেই সে আবার জঙ্গলের ভিতর কোথাও লুকিয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতে জঙ্গল ঘিরে আগুন জ্বালিয়ে জ়িনতকে খাঁচাবন্দি করার চেষ্টা চালাচ্ছে বন দফতর।
জ়িনতের ভয়ে আতঙ্কিত গোঁসাইডিহি। এর জেরে শনিবার গ্রামের আইসিডিএস কেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়েছিল। পড়ুয়ারা স্কুলমুখো না হওয়ায় দুপুরের পর বন্ধ করে দেওয়া হয় স্থানীয় গোপালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ও।
এবার সেখানে বাঘিনির পাশাপাশি হাতির আতঙ্ক। দলমা থেকে খাবারের খোঁজে বাঁকুড়ায় এসেছে প্রায় ৬২টি হাতির দল। এই দাঁতালদের ঠিকানা বড়জোড়ার জঙ্গল।
দু’সপ্তাহ আগে হাতির দল পশ্চিম মেদিনীপুরের সীমানা পেরিয়ে ঢুকে পড়ে বাঁকুড়ায়। বিষ্ণুপুর, জয়পুর, সোনামুখীর জঙ্গল পেরিয়ে হাতির দল হাজির হয়েছে এখন বড়জোড়ার পাবয়ার জঙ্গলে। সেখানেই তাদের আটকে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে বন দফতরের কর্তারা।
গত শুক্রবার থেকে শনিবার, টানা ৯ দিন রাজ্যের বিভিন্ন জঙ্গলে ‘বসবাস’ করছে বাঘিনি জিনাত। পরিস্থিতি যা, তাতে এবার বাঁকুড়া থেকে পশ্চিম মেদিনীপুরের দিকে এগোতে পারে সে!
শনিবার ভোরের আলো ফুটতেই বদলে যায় বাঘিনির অবস্থান। বন দফতর তখন বলে, জিনাতের গলায় লাগানো থাকা রেডিও কলার থেকে জানা গিয়েছে শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ বাঁকুড়ার রানিবাঁধ থানার গোপালপুর গ্রামের জঙ্গলে রয়েছে সে।
শেষ পাওয়া খবর এই যে, বাঁকুড়ার গোসাইডিহি গ্রাম লাগোয়া জঙ্গলেই বাঘিনি আশ্রয় নিয়েছে। গ্রামের মাত্র ৫০০ মিটারের মধ্যেই থাকা জঙ্গলে রয়েছে জিনাত। স্বাভাবিকভাবেই গ্রাম জুড়ে আতঙ্ক রয়েইছে। তারপর এখন আবার দাঁতালের আতঙ্ক।