দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ব্যাডমিন্টনের বিশ্বকাপ বলা যায় টমাস কাপকে। আর প্রথমবার ফাইনাল খেলেই সোনা জয় ভারতের।
হাতে বাকি দুই ম্যাচ তার আগেই টমাস কাপের ১৪ বারের চ্যাম্পিয়ন ইন্দোনেশিয়াকে হারিয়ে। ৭৩ বছরের ইতিহাসে প্রথম বার হারিয়ে দিলেন লক্ষ্য, চিরাগ, সাত্ত্বিক, শ্রীকান্তরা।
ব্যাডমিন্টনে বিশ্বসেরা হল ভারত । গ্যালারি আজ ভরে ছিল ভারতীয় সমর্থকদের ভিড়ে। গ্যালারি থেকে ‘ ‘ইন্ডিয়া ইন্ডিয়া’ চিৎকার বাড়তি অক্সিজেন দিচ্ছিল শ্রীকান্তদের। গোটা ভারতবাসীর স্বপ্নপূরণ হল আজ। ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা রইল ২০২২-এর ১৫ মে তারিখটা। সঙ্গে জুড়ে গেল লক্ষ্য, চিরাগ, সাত্ত্বিক, শ্রীকান্তদের নাম।
প্রথম ম্যাচে লক্ষ্য সেন পিছিয়ে গিয়েও জেতেন। প্রথম গেমে ৮-২১ ব্যবধানে হেরে যান লক্ষ্য। বলা যায় জিনটিং উড়িয়ে দিয়েছিলেন তাঁকে। কিন্তু সেখান থেকে দেখা গেল মরিয়া লড়াই। গ্যালারি থেকে ‘ভারত মাতা কী জয়’ চিৎকার উদ্বুদ্ধ করছিল লক্ষ্যকে। তাঁর মরিয়া লড়াই দেখা গেল শেষ দু’টি গেমে। লক্ষ্যর নাছোড় মনোভাবই জয় এনে দিল ভারতকে। খেলার ফল ৮-২১, ২১-১৭, ২১-১৬। ফিরে আসার লড়াই দেখালেন লক্ষ্য। তাঁর জয় চাগিয়ে দিল চিরাগদের।
দ্বিতীয় ম্যাচ ছিল ডাবলসের লড়াই। চিরাগ শেট্টি এবং সাত্ত্বিকসাইরাজ মুখোমুখি হয়েছিলেন মহম্মদ এহসান এবং সুকামুলিয়োর। লক্ষ্যর মতো চিরাগরাও প্রথমে পিছিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু হার মানেননি তাঁরা। শেষ পয়েন্ট পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। চিরাগের উপস্থিত বুদ্ধি নজর কেড়েছে। শট মারার মাঝেই যে ভাবে র্যাকেট বদলে নেন চিরাগ তা অবাক করে দেয় দর্শকদের। স্তম্ভিত হয়ে পয়েন্ট হারায় ইন্দোনেশিয়াও। দ্বিতীয় ম্যাচে ভারত জেতে ১৮-২১, ২৩-২১, ২১-১৯ ফলে।
পর পর দু’টি ম্যাচ জিতে ভারত এগিয়ে যায়। তৃতীয় ম্যাচ খেলতে নামেন কিদম্বি শ্রীকান্ত। প্রথম গেমে দাপটের সঙ্গে জেতেন তিনি। ফাইনালে স্ট্রেট সেটে জিতলেন শ্রীকান্ত। এ বারের টমাস কাপে একটি গেমও হারেননি তিনি।
ভারতীয় ছেলেদের এই জয় ব্যাডমিন্টনকে এক নতুন মাত্রায় পৌঁছে দিল। লক্ষ্য সেনরা দেখিয়ে দিলেন ব্যাডমিন্টনে তাঁরাও বিশ্বশাসন করতে পারেন।