অর্পিতা বনিক, বনগাঁ : ছোটবেলা থেকেই হাতের কাজে নিজের দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন তিনি। হাতে–কলমে কখনও মূর্তি তৈরির কাজ না শিখলেও, প্রতিমার টানে কুমোর পাড়ায় গিয়ে বসে থাকতেন ঘন্টার পর ঘন্টা ৷ দূর থেকে গ্রামের বনেদি পরিবারের দূর্গা মন্দিরের কুমোরদের কাজ দেখেই দশ বছর বয়সে প্রথম নিজের গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সরস্বতী প্রতিমার মূর্তি গড়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর এই আদিবাসী মৃৎশিল্পী বছর পঞ্চাশের ভগীরথ সর্দার৷
ছোট থেকে মাটি যেন টানতে থাকে তাঁকে ৷ আর সেই টানেই মৃৎশিল্পী হয়ে ওঠা তাঁর৷ তাঁর এই শিল্পকর্ম। যা এখন নজর কাড়ে সকলের। দেখুন ভিডিও
ভগীরথের কথায় এখন সময় বদলেছে আমি কোন শ্রেণীর তা আর কেউ জিজ্ঞেস করেনা, শুধু আমার হাতে গড়া প্রতিমার দিকে তাকিয়ে সকলকে বলতে শুনি মৃন্ময়ী মায়ের রুপের কথা এটা যেমন খুব সুখ আর আনন্দের মূহুর্ত, ঠিক চল্লিশ বছর আগে এই মায়ের মূর্তি গড়তে চেয়ে বাঁধাপ্রাপ্ত হয়েছিলাম আদিবাসী সমাজের মানুষ বলে৷ সেই সময় আমার বাড়ির কাছে কুঠিবাড়ি আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অমিও স্যারের উদ্যোগে প্রথম সরস্বতী ঠাকুর গড়ার সুযোগ পাই৷ তারপর এখন পঞ্চাশের বয়সসীমায় দাঁড়িয়ে মায়ের মূর্তি গড়ে চলেছি ৷ মায়ের মূর্তি গড়েই মরতে চাই ৷
পুজোর কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই ৷ আর সেই সঙ্গেই প্রতিবছরের ন্যায় পটুয়া পাড়ার ব্যস্ততাও বাড়ছে। আর হাতেগোনা ৭৫ দিনও নেই। এই মুহূর্তে ব্যস্ততা তুঙ্গে। আমরা জানি এই সময় থেকে মা সেজে হয়ে ওঠেন মৃন্ময়ী ৷
বাঙালির কাছে দুর্গাপূজো আবেগ।সারা বছরই কবে আসবে দুর্গাপুজো, তার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন বাঙালিরা৷
পুজোর কাউন্টডাউন শুরু হতে না হতেই ব্যস্ততা শুরু হয়ে যায় পটুয়াপাড়ায় ৷ দিনরাত জেগে ঠাকুর তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন এখানকার শিল্পীরা ৷ প্রতিবছর পুজোর আগে ছবিটা এমনই থাকে সেখানে ৷
এই মুহূর্তে চরম ব্যস্ত রযেছেন শিল্পীরা ৷ দু’বছর করোনার কারণে শিল্পীরা বরাত পাননি ঠিকই কিন্তু এই বছর অনেকটাই বরাত পেয়েছেন তাঁরা ৷ শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলে শিল্পীরা জানাচ্ছেন তাঁরা আশাবাদী ৷