দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ সোমবার বিধানসভায় দেখা গেল বিরল দৃশ্য।
এদিন বিধানসভা অধিবেশনে যা ঘটেছে তার জন্য সরাসরি বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে নিশানা করলেন রাজ্যের একাধিক দফতরের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ৷
হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়লেন তৃণমূল এবং বিজেপির বিধায়করা। নাক ফাটল তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের। সাসপেন্ড হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী সহ পাঁচ বিধায়ক। এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
তিনি বলছেন, এমন গুন্ডাবাজি করা করা বিরোধী দলনেতা দেখেননি তিনি। ফিরহাদের কথায়, ‘এ রকম গুন্ডাবাজি করা বিরোধী দলনেতা আগে কোনও দিন দেখিনি। এই বিধানসভায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিরোধী দলের নেতা ছিলেন। তথ্য দিয়ে সরকারের বক্তব্যের সমালোচনা করতেন। আরও অনেক বিরোধী দলনেতাকে আমরা দেখেছি। কিন্তু এ রকম অরাজকতা সৃষ্টিকারী বিরোধী দলনেতা দেখিনি কখনও।’
হাতাহাতিতে নাক ফেটে যাওয়া অসিত মজুমদার বলছেন, শুভেন্দুই ঘুসি মেরে তাঁর নাক ফাটিয়ে দিয়েছেন। উল্টোদিকে শুভেন্দুর অভিযোগ, বিধানসভায় সাদা পোশাকে পুলিশ ঢুকিয়ে মারধর করার পরিকল্পনা করেছিল তৃণমূল। জামা ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে বিজেপি বিধায়ক মনোজ টিগগার। তবে এই ঘটনায় মনোজ টিগগাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। মনোজ, শুভেন্দু ছাড়াও সাসপেন্ড হয়েছেন নরহরি মাহাতো, শঙ্কর ঘোষ এবং দীপক বর্মন।
তৃণমূলের তরফে উদয়ন গুহ এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য অধ্যক্ষ বিমান ব্যানার্জিকে আবেদন করলে তিনি সাসপেন্ড করেন। চন্দ্রিমা বলেন, ‘বিধানসভায় গণতন্ত্র ভূলুন্ঠিত হয়েছে। গণতন্ত্র ভূলুণ্ঠিত করেছে বিজেপি। তৃণমূল বিধায়করা আক্রান্ত হয়েছেন। মহিলা নিরাপত্তা কর্মীরা আক্রান্ত হয়েছেন।’
পার্থ চ্যাটার্জি বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্যে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। সেই অশান্তি এবার বিধানসভায় নিয়ে এল। বিজেপি বিধায়করা মাইক খুলে, কাগজ ছিঁড়ে গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করে, এমনকী মহিলা বিধায়কদের ওপরেও হামলা চালায়। এই ঘটনা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক।’