দেশের সময়: নবান্নে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দিল্লির আপ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বৈঠক নিয়ে তোপ দাগলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইট করে তাঁর তোপ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের বৈঠক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে রাজ্য সরকারের সচিবালয় নবান্নকে। পিছনে জাতীয় পতাকা ও অশোক স্তম্ভ রেখে পুরোপুরি রাজনৈতিক আলোচনা করেছেন দুই মুখ্যমন্ত্রী। যদি তাঁদের মধ্যে সরকারি স্তরে কোনও আলোচনা হয়ে থাকে, তা হলে প্রশ্ন, বাংলা ও দিল্লি সরকারের মধ্যে কী নিয়ে মউ সাক্ষর হল? তাঁর কটাক্ষ শিক্ষানীতি নাকি আবগারি নীতি কোনটা নিয়ে কথা হল দুই মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে। তারপরই তোপ দেগে বিজেপি নেতা শুভেন্দুর আক্রমণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী জেলে। একাধিক বিধায়ক জেলে রয়েছেন। অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকারের উপ মুখ্যমন্ত্রী জেলে। তাঁর সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেলে। আসলে এঁরা দুর্নীতিগ্রস্তদের নেতা। আর নবান্নে বসে সরকারি জায়গার অপব্যবহার করে দুর্নীতিগ্রস্তদের জোট তৈরির চেষ্টা চলছে।

যদিও শুভেন্দুর বক্তব্যের পাল্টা হিসেবে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের অনৈতিক, স্বৈরাচারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রাজ্য কী পদক্ষেপ নেবে, তা নিয়ে তিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করেছেন। এই বৈঠক তো হতেই পারে। শুভেন্দু তা নিয়ে কথা বলার কে? আর ওঁর তো একাধিক কেলেঙ্কারির ঘটনায় এফআইআর-এ নাম রয়েছে। তা হলে সে কীভাবে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অফিসে বসে মিটিং করে, সেখানে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে? তা হলে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দফতরটা কি রাজনৈতিক কার্যালয়ে পরিণত হয়েছে? তা না হলে শুভেন্দু ভারত সরকারের কে? সে কীভাবে সেখানে গিয়ে বৈঠক করতে পারে? আসলে শুভেন্দু রাজনৈতিকভাবে দিশাহারা। তাই এসব বলছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিজেপিকে হটানোর লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো বলেই দিয়েছেন, বড়জোর আর ছ’মাস। বিজেপি সরকারের পতন অনিবার্য। তার আগেও মোদি সরকারের পতন হলে আশ্চর্যের কিছু নেই।

এদিকে, মঙ্গলবারের বৈঠকে বাংলা ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী ছাড়াও ছিলেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিং মান। তিনি বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলা আর পাঞ্জাব একসঙ্গে লড়াই করেছিল। স্বৈরাচারি মোদি সরকারকে হটাতে বাংলার হাত ধরবে পাঞ্জাব। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরও কেন্দ্র যে অর্ডিন্যান্স নিয়ে এসেছে, তার বিরোধিতা করতে বাংলার সাহায্য চেয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে এ ব্যাপারে সমর্থনের আশ্বাস পেয়েছেন তিনি। রাজ্যসভায় যদি এই বিল আটকে দেওয়া যায়, তা হলে তা হবে সেমি ফাইনাল। আর ফাইনাল ২০২৪।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here