নয়ডার এই যমজ অট্টালিকা প্রথম থেকেই বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। ৪০ তলা ভবন দু’টি নির্মাণের সময় বহু আইন মানা হয়নি বলে অভিযোগ করেছিলেন এলাকার বাসিন্দারা। যা নিয়ে প্রায় দশ বছর ধরে চলে আইনি লড়াই। শেষে ২০২২ সালের ১২ অগস্ট সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয় যে, ২৮ অগস্ট ভেঙে ফেলতে হবে এই বহুতল। শীর্ষ আদালতের সেই নির্দেশ মেনেই রবিবার ভাঙা হল অট্টালিকা।
— ANI (@ANI) August 28, 2022
ভেঙে ফেলা হল নয়ডার বেআইনি যমজ বহুতল । সময় লাগল মাত্র ৯ সেকেন্ড। চোখের সামনেই ভেঙে পড়ল অট্টালিকা দুটো। টিভির পর্দায় এই ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী থাকল গোটা দেশ। একটি সুইচ টিপেই এই কাজ করা হল। আর তার পরেই তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল নয়ডার টুইন টাওয়ার। এই টাওয়ারের সামনে ভিড় করেছিলেন উৎসুক জনতা। ১৫ মিনিট আগেই এই এলাকার যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ভেঙে ফেলা হল এই অট্টালিকাদ্বয়। ভেঙে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ধুলোর ঝড়ে ঢেকে গেল গোটা এলাকা। নিমেষে গুঁড়িয়ে গেল এই দুই বহুতল।
এমারেল্ড কোর্টে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা আবাসনগুলির মাঝখানে মাথা তুলে দাঁড়ানো দুই যমজ অট্টালিকার নাম, ‘অ্যাপেক্স’ এবং ‘সিয়ান’। তবে ২০০০ সালে যখন ‘এমারেল্ড কোর্ট’ আবাসন তৈরির ভাবনাচিন্তা শুরু হল, তখন এদের কথা ভাবা হয়নি। তখন কথা ছিল, গ্রেটার নয়ডার এই এলাকায় ১৪টি আবাসন ভবন তৈরি হবে। যার প্রত্যেকটি হবে ন’তলা উচ্চতার। কিন্তু ২০১২ সালে হঠাৎই বদলে যায় পরিকল্পনা।
Another twin tower goes down in history. #SupertechTwinTowers in Noida demolished in 9 seconds. pic.twitter.com/QvDnfDIqOP
— Sreyashi Dey (@SreyashiDey) August 28, 2022
‘এমারেল্ড কোর্ট’ নির্মাণের দায়িত্বে ছিল সুপারটেক নামে একটি সংস্থা। তারাই ২০১২ সালে ঘোষণা করে পরিকল্পনা বদলের কথা। বদল হওয়া পরিকল্পনা অনুযায়ী ‘এমারেল্ড কোর্ট’-এ ১৪টির বদলে ১৫টি আবাসন ভবন হবে। ন’তলার বদলে উচ্চতা হবে ১১ তলা। আর হবে নতুন দু’টি গগনচুম্বী অট্টালিকা যার উচ্চতা কুতুব মিনারকেও ছাড়াবে।
বিতর্কের কারণ, নির্মাণ সংস্থা সুপারটেকের প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে না পারা। ‘এমারেল্ড কোর্ট’-এর প্রথম পরিকল্পনায় নির্মাণকারী সংস্থাটি জানিয়েছিল, আবাসনগুলির লাগোয়া একটি বিস্তৃত সবুজালি থাকবে। থাকবে বড় গাছগাছালি। যা পরিকল্পনামাফিক তৈরি করবে সুপারটেক। ২০০৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত খাতাকলমে সেই পরিকল্পনার কথা বলাও ছিল। কিন্তু তার পর যখন নতুন দু’টি অট্টালিকা তৈরির পরিকল্পনা করা হয়, দেখা যায়, ওই সবুজালির জায়গাতেই তৈরি হতে চলেছে অতিরিক্ত আকাশছোঁওয়া ভবন দু’টি। যা নির্মাণ সংক্রান্ত প্রশাসনিক আরও বহু আইন ভেঙেছিল বলে পরে জানা যায়।
বিস্তারিত জানতে পেজটি বারবার রিফ্রেশ করুন!