অর্পিতা বনিক, বনগাঁ: উত্তর২৪ পরগনার ছয়ঘড়িয়া গ্রাম জুরে বহু নলকুপ অকেজো ৷ পাইপ লাইনের জলও অনিয়মিত৷ গরম বাড়তেই ছয়ঘড়িয়া পঞ্চায়েতে অধিকাংশ এলাকায় এই পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে ৷
পাশাপাশি তীব্র গরম এবং প্রখর রোদে ঝলসে যাচ্ছে খেতের আনাজ ৷ বড়সড় ক্ষতির আশষ্কা করছেন আনাজ চাষিরা ৷ আরও অনুমান , আগামী দিনে বাজারে কয়েকগুণ বাড়তে পারে আনাজের দাম ৷
ছয়ঘড়িয়া সহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায় এই সময়ে প্রচুর পরিমাণে গ্রীষ্মকালীন আনাজের চাষ হয়েছে ৷ চাষিদের কথায় অন্যান্যবার এত দিনে একাধিক কালবৈশাখী হয় ৷ কিন্তু এ বছর এখনও সেভাবে ঝড়-বৃষ্টি না হওয়ায় একদিবকে যেমন পানীয় জলের সমস্যা দেখা দিয়েছে অন্যদিকে প্রখর রোদে মাটি ফেটে যাচ্ছে, ঝলসে যাচ্ছে আনাজ ৷চিন্তার ভাজ পডেছে চাষিদের কপালে৷
তীব্র দাবদাহে পুড়ছে গোটা বাংলা। চাঁদিফাটা রোদ্দুর। ৪০ ডিগ্রির উপর তাপমাত্রা। প্রখর গরমে দিনের বেলা মাঠে যাওয়া দায়,একদিকে গ্রীষ্মের দাবদাহ, অন্যদিকে বৃষ্টির অভাবে খাঁখাঁ করছে চাষের ক্ষেত। ক্ষতি হচ্ছে ফসলের। প্রখর রৌদ্রতাপে বিপর্যস্ত জনজীবন। একফোঁটা বৃষ্টির দেখা নেই। দিন যত যাচ্ছে দক্ষিণবঙ্গের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ততই বেড়ে চলেছে। দেখুন ভিডিও :
তীব্র গরম এবং প্রখর রোদে খাল-বিল-পুকুরের জলস্তর কমে গিয়েছে অনেকটাই। ক্ষতি হচ্ছে মাছ চাষে। চাষিরা জানান, গরমে জলস্তর কমে যাওয়ায় পুকুর বা ভেড়িতে প্রচুর মাছ-চিংড়ি মরে যাচ্ছে।
মাছ চাষিরা জানালেন, প্রবল গরম এবং দীর্ঘ অনাবৃষ্টিতে পুকুরগুলি শুকিয়ে এসেছে। অনেক এলাকায় পুকুরের জল ব্যবহার করে ধান বা আনাজ চাষ হয়। সেই সব এলাকায় পুকুর থেকে সেচের জন্য জল তুলে নেওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ। বৃষ্টি না হওয়ায় সমস্যা বেড়েছে। কোথাও কোথাও মাছ চাষের পুকুরে হাঁটুসমান জল। চড়া রোদে জল গরম হয়ে মাছ মরতে শুরু করেছে।
তীব্র গরমের প্রভাব পড়েছে শ্রম-বাজারে। চড়া রোদে কাজ করে ইতিমধ্যে শ্রমিকদের অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ফলে অনেকেই পূর্ণ সময়ের বদলে কয়েক ঘণ্টা কাজের চুক্তি করছেন। অনেকে আবার রোদের মধ্যে চাষের জমিতে কাজ করতে রাজি হচ্ছেন না। এই পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন চাষি ও ঠিকাদারেরা। তাঁদের দাবি, বেশি টাকা দিয়েও মিলছে না শ্রমিক। এমনই চিত্র বনগাঁ ছয়ঘড়িয়া পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায়।