দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ কলকাতার বাগুইআটির দুই ছাত্র নিখোঁজ ছিল ২২ অগস্ট থেকে । অবশেষে নিখোঁজ হওয়া দুই কিশোরের দেহ উদ্ধার হল উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট থেকে। মঙ্গলবার সকালে ওই দুই ছাত্রের পরিবারের লোকজন তাদের দেহ শনাক্ত করেছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। বসিরহাট হাসপাতালের মর্গে গত প্রায় ১৩ দিন ধরে অশনাক্ত অবস্থায় ওই দেহ দু’টি পড়েছিল। মৃতদের নাম অভিষেক নস্কর (১৬) এবং অতনু দে (১৫)।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৩ ও ২৫ অগস্ট ন্যাজাট এবং মিনাখা থেকে দুই ছাত্রের দেহ উদ্ধার হয়েছিল। আজ ৬ সেপ্টেম্বর সেই দেহ দুটি সনাক্ত করেছে পরিবার।
পরিবারের দাবি, ২২ অগস্টই তাঁরা বাগুইআটি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। যদিও পুলিশের বক্তব্য, অভিযোগ দায়ের হয়েছিল ২৪ অগস্ট। পরিবারের বক্তব্য, ২২ তারিখ অভিযোগ দায়ের করার পরেও বাগুইআটি থানা গা করেনি। পুলিশ জানিয়েছে এই বিষয়টি অবশ্যই তদন্ত করে দেখা হবে।
দুই ছাত্রের বয়স ১৫ ও ১৬ বছর। পরিবারের দাবি, ২২ তারিখ দুপুরে তারা বেরিয়েছিল। তারপর সেখান থেকে সত্যেন্দ্র চৌধুরী নামের একজন তাদের নিয়ে যায় নিউটাউনের একটি মোটরসাইকেলের দোকানে। সেখান থেকেই তাদের নিয়ে যাওয়া হয় ন্যাজাটের দিকে।
এর কয়েক দিন পর থেকে দুই ছাত্রের পরিবারের কাছে এক কোটি টাকা মুক্তিপণ চেয়ে মেসেজ আসতে থাকে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে মূল অভিযুক্ত সত্যেন্দ্র এখনও অধরা। এদিন তার বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালান স্থানীয় বাসিন্দারা।
বসিরহাট পুলিশের থেকে ইনপুট পেয়ে বাগুইআটি থানা জানতে পারে সেখানে কয়েকদিন আগে দুই কিশোরের দেহ মিলেছে। তারপরইপরিবারকে খবর দেওয়া হয়। এদিন দেহ সনাক্ত করে পরিবার।
পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে তাঁরা মনে করছেন, অপহরণটা এখানে সাজানো। আসলে খুনের জন্যই ওদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। খুন করার পর মুক্তিপণের মেসেজ পাঠাতে থাকে অভিযুক্তরা।
মঙ্গলবার দুপুর থেকে অভিযুক্তের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যেহেতু অভিযুক্তের পরিবারের কাউকেই পাওয়া যায়নি, প্রতিক্রিয়া পাওয়া সম্ভব হয়নি। পুলিশ জানাচ্ছে, দেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানাচ্ছে, গলায় দাগ রয়েছে, তার থেকে অনুমান শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।