দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বুধবার রাতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রায় দিলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টা পর্যন্ত সিআরপিএফের নজরদারিতে থাকবে এসএসসি অফিস। বুধবার রাত থেকেই শুরু হবে নজরদারি। সেই সময়ের মধ্যে কেউ এসএসসি ভবনে ঢুকতে পারবেন না।
বিচারপতি নিজে সরাসরি কথা বলেছেন সিআরপিএফের ডিজি-র সঙ্গে। এসএসসি-র সল্টলেকের অফিসে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত যাতে কেউ ঢুকতে না পারে, তা নিশ্চিত করবেন ডিজি।
বুধবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দেন অধ্যাপক সিদ্ধার্থ মজুমদার। এরপরে এসএসসি মামলার আবেদনকারীরা কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে জানান, তাঁরা আশঙ্কা করছেন, রাজ্য সরকার সংশ্লিষ্ট নথি নষ্ট করতে পারে। তাঁদের আবেদন গ্রহণ করেন প্রধান বিচারপতি। বুধবার রাতেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে শুরু হয় শুনানি।
সূত্রের খবর, বিচারপতির চেম্বার থেকেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর অফিসে ফোন করে কথা বলেন আইনজীবী সুদীপ্ত দাসগুপ্ত। আদালত নির্দেশ দেয়, নির্দেশের কপি তৎক্ষণাৎ সিআরপিএফকে দেওয়া হোক।
আদালত আরও জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালেই মামলকারীরা কোর্টে আসতে পারেন। তবে, রাত সাড়ে ১২টার পর কেউ ঢুকতে পারবেন না এসএসসি অফিসে। সাড়ে ১২টার মধ্যে আচার্য সদন ঘিরে ফেলবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বুধবার রাত সাড়ে দশটা থেকে শুনানি শুরু হয়। সূত্রের খবর, ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুনানিতে অংশ নেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যও।
ভার্চুয়াল শুনানিতে সবপক্ষের উপস্থিতিতেই নির্দেশ দেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আচমকা এসএসসির চেয়ারম্যানের পদত্যাগে নতুন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। চাকরিপ্রার্থীদের জরুরি আবেদনের প্রেক্ষিতে তাই এই জরুরি শুনানি হতে পারে।
কমিশন অফিস থেকে নথি সরতে পারে এই আশঙ্কাতেই নতুন আবেদন। বুধবার দিনভর এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে উত্তপ্ত হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। দীর্ঘ দিন ধরে টালবাহানা চললেও সিবিআইয়ের ডাক আর এড়াতে না পেরে শেষমেশ সিবিআই দফতরে হাজির হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷
প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব কাটিয়ে নিজাম প্যালেস থেকে রাত্রি ৯ টা ২৫ নাগাদ বের হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সোজা দলীয় অফিসে পৌঁছন তিনি। নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সমস্ত প্রশ্নের উত্তরেই মুখে কুলুপ এঁটেছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।এসএসসি নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় আজ, বুধবারই পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সন্ধে ছ’টার মধ্যে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়৷