অর্পিতা বনিক ,দেশের সময় : লকডাউনের মত কঠিন সময়ে কিছু পরিবারহীন, ভবঘুরে মানুষ খুঁজে পেয়েছেন তাঁদের আশ্রয়। অন্যজনের সঙ্গে মিশে গিয়েছিলেন পরিবারের মতো। মহামারী পর্যায় পার করতে পেরেছে এই পৃথিবী। কিন্তু পরিবার খুঁজে পাওয়া মানুষগুলি আর বিচ্ছিন্ন হননি। আপাতত তাঁদের আশ্রয় বনগাঁর শরণ্য ৷
বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন পুরমাতা জ্যোৎস্না আঢ্য-র সময় কালে চাঁপাবেড়িয়া এলাকায় তৈরী এই শরণ্য বৃদ্ধাশ্রম। সেখানে এখন রয়েছেন ৪৫ জন আবাসিক ৷ স্থানীয় বিধায়ক , পুরপ্রধান এবং কিছু মানুষের উদ্যোগে এই সমস্ত আবাসিকদের খাবার, আশ্রয়, বস্ত্রের নিয়মিত যোগান দিয়ে চলেছেন। একসঙ্গে মিলেমিশে পরিবারের মতো করে থাকেন তাঁরা। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মানুষ এই আবাসিকদের পাশে দাঁড়ান। বিভিন্ন সময় তাঁদের চাল, ডাল, কাপড় ইত্যাদি দিয়ে সাহায্যও করেন।
আপনি চাইলেও এই সমস্ত মানুষগুলির পাশে থাকতে পারেন। আপনার জন্মদিন, বিবাহ বার্ষিকী বা বিশেষ দিনে তাঁদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করতে পারেন। তাঁদের হাতে তুলে দিতে পারেন নতুন জামা-কাপড়। যেকোনও সময়ই এই সমস্ত মানুষগুলির পাশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ রয়েছে আপনার কাছে৷ দেখুন ভিডিও–
এখানে সকলেই পরিবারহীন! অতিমারী এনেছে কাছে! মানুষের সাহায্যেই চলছে এই শরণ্য বৃদ্ধাশ্রম! সেখানেই কেক কেটে জন্মদিন পালন করলেন নৃত্য শিল্পী বনগাঁর মেয়ে শ্রীলা আনন্দ ভাগ করে নিলেন এই আবসিকদের সঙ্গে৷ এদিন শরণ্যতে শ্রীলার জন্মদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মিউসিক ডিরেক্টর অশোক ভদ্র ও গীতিকার দেবপ্রসাদ চক্রবর্তী ৷ আপনি চাইলে সরাসরি গিয়ে এই সমস্ত মানুষগুলির জন্য উপহার নিয়ে হাজির হতে পারেন স্যান্টাক্লজ এর মত।