
সাতসকালে একেবারে বুলেট নিয়ে মেদিনীপুরের রাস্তায় নামতে দেখা গিয়েছে দিলীপ ঘোষ। সঙ্গেই প্রায় ৫০০ বাইকের মিছিল। অন্যদিকে স্কুটি নিয়ে মিছিল করতে দেখা গেল লকেট চট্টোপাধ্যায়কে। রাস্তায় নামলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আগেই এক কোটি হিন্দুকে রাস্তায় নামার ডাক দিয়েছিলেন তিনি। পরবর্তীতে আরও ৫০ লাখ মোট দেড় কোটি হিন্দুকে রাস্তায় নামার ডাক দিয়েছিলেন তিনি। এদিন রাস্তায় নেমেই কার্যত রণহুঙ্কারের সুরে বললেন, “এ তো সবে সকাল দশটা! রাত দশটার মধ্যে দখল হয়ে যাবে হিন্দুদের বাংলা।”
রামনবমীর পুণ্যতিথিতে নন্দীগ্রামের সোনাচূড়ায় রাম মন্দিরের ভূমিপূজন অনুষ্ঠান হল রবিবার। উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এদিন সকাল থেকেই বড় বড় রামের কাটআউট লাগানো শুরু হয় ওই এলাকায়। দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বাইকে চড়ে শুভেন্দু পৌঁছান সোনাচূড়া মন্দিরে।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আজ রাতের মধ্যেই বাংলা দখলের ডাক দেন তিনি। বলেন, ‘হরে কৃষ্ণ-হরে রাম আওয়াজ বাংলা থেকেই উঠেছিল। রাম আস্থার প্রতীক, ভারতবর্ষের আত্মার প্রতীক। এ তো সবে সকাল দশটা! রাত দশটার মধ্যে দখল হয়ে যাবে বাংলা।’

নন্দীগ্রামে রামমন্দির নির্মাণ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি জায়গা সংগ্রহ করেছি, বাকিটা লাগবে না, এমনিই উঠে যাবে। মন্দির করার জন্য লোক তৈরি। ১০টা লোক আসবে মন্দির তৈরি করে চলে যাবেন।’

পরে সত্যিকারের বাংলা দখল প্রসঙ্গও তোলেন বিরোধী দলনেতা। মনে করিয়ে দেন, ২১টা রাজ্যে বিজেপি আছে, দিল্লি দখল হয়েছে, বাংলাও হবে।

এদিন সকালে সোনাচূড়ায় যাওয়ার আগে শোভাযাত্রা করেন তিনি। তাতে যোগ দেন বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা।
এদিকে রবিবার সাতসকালে বুলেট বাইক নিয়ে মেদিনীপুরের রাস্তায় শোভাযাত্রা করেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তাঁর সঙ্গে ছিল প্রায় ৫০০ বাইক। অন্যদিকে, স্কুটিতে শোভাযাত্রায় অংশ নেন লকেট চট্টোপাধ্যায়।
