দেশের সময় ,কলকাতা: রেশন দুর্নীতি মামলায় বর্তমানে জেলবন্দি বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শংকর আঢ্য। তাঁর বিরুদ্ধে এবার বোমা ফাটালেন এক আমদানি-রপ্তানি ব্যবসায়ী। চিঠিতে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন তিনি। সেই চিঠিই নাকি বর্তমানে রয়েছে ইডির হাতে। ওই চিঠি থেকে শংকর আঢ্যর বিরুদ্ধে নতুন কোনও দুর্নীতির পর্দাফাঁস হতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। তার ফলে জেলবন্দি শংকর যে আরও বিপাকে পড়তে পারেন, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।
জানা গিয়েছে, এক আমদানি-রপ্তানি ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি আধিকারিকরা। তাঁর সঙ্গে শংকর আঢ্যর প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল। ওই ব্যবসায়ীকে জেরা করেই নাকি একটি চিঠির কথা জানতে পারেন তদন্তকারীরা। ওই চিঠির কপিও ইডি আধিকারিকদের কাছে রয়েছে। ওই চিঠিতেই নাকি শংকর আঢ্যর বিরুদ্ধে নয়া দুর্নীতির পর্দাফাঁস করেছেন ব্যবসায়ী।
ইডি সূত্রে খবর, ব্যবসায়ীর লেখা ওই চিঠিতে রেশন দুর্নীতি সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ নেই। এই চিঠিটি এর আগে তৃণমূল শীর্ষনেতৃত্বকেও ব্যবসায়ীকে পাঠিয়েছেন বলেই খবর।
প্রসঙ্গত, এর আগে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের লেখা চিঠির জেরে বিপাকে পড়েন শংকর আঢ্য। ২০২৩ সালের ২৭ অক্টোবর, সল্টলেকের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। খাদ্যমন্ত্রী থাকাকালীন তিনি রেশন দুর্নীতি মামলায় জড়িয়ে পড়েন বলেই অভিযোগ। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইডির তরফে আদালতে জানানো হয়েছিল, গ্রেপ্তারির পর ‘অসুস্থ’ অবস্থায় এসএসকেএম হাসপাতালে বসে মেয়েকে একটি চিঠি পাঠান জ্যোতিপ্রিয়। সেটি সিআরপিএফের হাতে পড়ে। পরিস্থিতি এমন হয় যে সিআরপিএফ চিঠিটি খুলে দেখতে বাধ্য হয়। সেই চিঠিতে নাম ছিল শংকর আঢ্যর।
এছাড়া ওই চিঠিতে শেখ শাহজাহান, রবীন্দ্র এবং ডাকু নামে আরও তিনজনের নাম উল্লেখ ছিল। তাতে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত নির্দেশ ছিল বলে খবর। ওই চিঠির সূত্র ধরেই ইডির স্ক্যানারে চলে আসেন শংকর আঢ্য। তাঁর বাড়ি-সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশির পর গ্রেপ্তার হন বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান। গ্রেপ্তারির পর থেকে অবশ্য বার বারই নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেন তিনি। এবার আমদানি-রপ্তানি ব্যবসায়ীর চিঠির সূত্র ধরে শংকরের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ সামনে আসে, সেটাই এখন দেখার।