দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ৩ বছর পর ঘরের মাঠে ম্যাচ, ফলে এই ম্যাচটা স্পেশাল কলকাতা নাইট রাইডার্সের কাছে। প্রতিপক্ষ শক্তিশালী রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। এই ম্যাচকে স্পেশাল করতে মাঠে হাজির দলের অন্যতম কর্ণধার শাহরুখ খান ও জুহি চাওলা। তাঁদের উপস্থিতি দর্শকদের সমর্থনে অন্য মাত্রা এনে দিয়েছে। আর KKR-এর ম্যাচ মানেই সেলিব্রিটিদের ছড়াছড়ি। শাহরুখ খানের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তাঁর কন্যা সুহানা খান, গায়িকা ঊষা উত্থুপ।


২০১৯ সালে শেষবার ইডেনে আয়োজিত হয়েছিল IPL-এর ম্যাচ। এরপর করোনার দাপটে কখনও দেশে আবার কখনও বিদেশে আয়োজিত হয়েছে ম্যাচ। এবার ফিরেছেন IPL। আর প্রথম ম্যাচটাই বিরাট কোহলির দলের বিরুদ্ধে। ২০১৯ সালে পিঙ্ক বলের প্রথম টেস্ট ম্যাচে বিরাট কোহলির সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন এই ইডেন গার্ডেন্স থেকেই। ফলে পুরোটা কাকতালীয় হলেও বেশ মিল পেয়েছেন নেটিজেনরা।

শাহরুখ যতবার গ্যালারিতে এসেছেন ক্যামেরা তাঁর দিকে ঘোরানো হয়েছে। তিনি প্রতিবার হয় হাত নেড়ে, নয়ত ফ্লাইং কিস দিয়ে সমর্থকদের বার্তা দিয়েছেন। বুকে হাত দিয়ে ঝুঁকে সমর্থকদের ধন্যবাদ জানাতেও দেখা গিয়েছে কিং খানকে। তাঁকে দেখা গিয়েছে দলের CEO ভেঙ্কি মাইসোরের সঙ্গে। শাহরুখকে দেখে আনন্দ ধরে রাখতে পারেননি সমর্থকরা। তাঁকে পাওয়া মানে বাড়তি পাওনা সবার কাছেই। শাহরুখ পাঠান সিনেমার গান ঝুমে যো পাঠানের তালে কোমর দোলান।

এদিন টসে জিতে নাইটদের ব্যাটিং করতে পাঠান ফাফ ডু প্লেসি। ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু পায়নি KKR। ভেঙ্কটেশ আইয়ার ব্যর্থ হন। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন শার্দূল ঠাকুর। তিনি ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন। শেষের দিকে নেমে তাঁর এই ইনিংস প্রশংসনীয়। তাঁর সঙ্গে জুটি বেঁধে ১০৩ রানের পার্টনারশিপ করেন রিঙ্কু সিং। তিনি ৪৬ রান করে আউট হন। ওপেনার রহমানুল্লা গুরবাজ করেন ৫৭ রান। এই তিনজন বাদে আর কেউ রান পাননি। দলের ৬ জন এক অঙ্কের রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন।

নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে KKR তোলে ২০৪ রান। ৮৯-৫ উইকেট থেকে দলকে টানেন শার্দূল ও রিঙ্কু জুটি। বল হাতে দুটি করে উইকেট নেন ডেভিড উইলি ও করন শর্মা। একটি করে উইকেট নেন মহম্মদ সিরাজ, মিশেল ব্রেসওয়েল ও হর্ষল প্যাটেল। অর্থাৎ, কিং খানের সামনে দলের ব্যাটারদের সম্মান বাঁচালেন শার্দূল ঠাকুর, রহমানুল্লা গুরবাজ ও রিঙ্কু সিং। অধিনায়ক থেকে শুরু করে ব্যাটার কেউ কিছু করতে পারেননি।

তবে দলের অন্য ওপেনার গুরবাজ এদিন নজর কাড়লেন। ৪৪ বলে ৫৭ রানের ইনিংস খেলে যখন তিনি আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তখন কলকাতার স্কোর ১১.২ বলে ৮৯/৪। কলকাতার জার্সি গায়ে শততম ম্যাচ খেলতে নামেন আন্দ্রে রাসেল। কিন্তু প্রথম বলেই আউট হয়ে যান তিনি।

কিন্তু শেষে ইডেন দেখল আজ শার্দূল ঠাকুরের ঝড়। এদিন কলকাতার ইনিংসের রঙ পাল্টে দেয় শার্দূল ও রিঙ্কুর পার্টনারশিপ। ১০৩ রান করেন দু’জনে। শার্দূল একাই করেন ২৯ বলে ৬৮ রান। মারেন ৯টা ছয় ও ৩টে চার। আর রিঙ্কু খেলেন ৪৬ রানের ইনিংস। ৭ উইকেট হারিয়ে কেকেআর তোলে ২০৪ রান। বেঙ্গালুরুর হয়ে ডেভিড উইলি ও করণ শর্মা ২টি করে উইকেট নেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here