দেশের সময় কলকাতা:রবিবার দুপুর ২ টো থেকে পরিষেবা স্বাভাবিক হওয়ার কথা বলেছিল পূর্ব রেল। কিন্তু প্ল্যাটফর্মের কাজ এবং ইন্টারলোকিং সিগন্যালিং সিস্টেমের কাজ সম্পূর্ণ হয়ে যাওয়ায় বেলা ১২ টা থেকেই ১ থেকে ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্মে পরিষেবা শুরু করার সিদ্ধান্ত নিল পূর্ব রেল। যে কারণে রবিবার বিকেল থেকে আর দুর্ভোগ থাকবে না বলেই পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই নতুন সিদ্ধান্তের কথা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে পূর্ব রেল।
শিয়ালদহ স্টেশনের ১ থেকে ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম সম্প্রসারণের জন্য বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে কাজ শুরু হয়েছিল। রেল ঘোষণা করেছিল, রবিবার দুপুর ২টো পর্যন্ত বাতিল করা হবে একাধিক ট্রেন। গত দুদিন ধরে তার জন্যই ভুগতে হয়েছে সাধারণ যাত্রীদের। ভোগান্তির শেষ হয়নি রবিবারেও। তবে প্ল্যাটফর্মের সম্প্রসারণের কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে রেল। সরকারিভাবে কিছু ঘোষণা না হলেও অনুমান করা হচ্ছে আগামী দু-একদিনের মধ্যেই পরিষেবা আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
আগামী ১ জুলাই থেকে প্রতিটি লোকাল ট্রেন ১২ বগির করা হবে। এই কারণ দেখিয়ে শুরু হয়েছিল কাজ। তবে রবিবার দুপুর ২টোর অনেক আগেই সেই কাজ শেষ করা হয়েছে বলে জানায় রেল। শুধু তাই নয়, শিয়ালদহের পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মে রবিবার দুপুরে প্রথমবার ১২ কামরার লোকাল ট্রেন চলাচলও করেছে। যদিও আপাতত তা পরীক্ষামূলকভাবে। রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শিয়ালদহ মেন শাখায় এক থেকে পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্মে আগের মতোই ট্রেন পরিষেবা চালু হয়েছে। তবে কিছু ট্রেন চলাচল দেরিতে হতে পারে।
এখনই সব ১২ কামরার ট্রেন এই প্ল্যাটফর্মে ঢুকবে না। ইন্টারলকিংয়ের কাজ এবং সিগন্যালিংয়ের কাজ শেষ হলেও জুলাই মাসের আগে পর্যন্ত শিয়ালদহ মেন এবং উত্তর শাখায় ১২ কামরার ট্রেন পরিষেবা চালু হবে না। এদিকে রবিবার সকালেই শিয়ালদহ স্টেশনের অনুসন্ধান কেন্দ্রের বাইরে ক্ষোভ উগরে দেন নিত্যযাত্রীদের একাংশ। ভেঙে দেওয়া হয় অনুসন্ধান কেন্দ্রের কাচ। এতে ওই কেন্দ্রের কয়েকজন কর্মী আহত হন।
ট্রেনের প্রবল ভিড়ের চাপে ইতিমধ্যেই এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবারই টিটাগড় ও খড়দহ স্টেশনের মাঝে এক জায়গায় সে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে যায়। শুধু শিয়ালদহই নয়, হাওড়া শাখাতেই বেশ কয়েকটি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। তাছাড়া কয়েক ট্রেনের সময় পরিবর্তনও করা হয়েছে। লাইনের কাজ চলায় এমন ভোগান্তির শিকার হয়েছেন যাত্রীরা।
শেষ পর্যন্ত আশঙ্কাই সত্যি হয়। শুক্রবার থেকেই যাত্রীদের ক্ষোভের আগুনে পুড়তে থাকে শিয়ালদহ। দমদম পর্যন্ত এসে থমকে যায় বহু লোকালের চাকা। কত যাত্রী তো হেঁটেই পাড়ি দেন বাকি পথ। অন্যদিকে একই ছবি একাধিক এক্সপ্রেস ট্রেনের ক্ষেত্রেও। এদিকে এদিন সকালেই আবার যাত্রীদের ক্ষোভ আছড়ে পড়ে শিয়ালদহ স্টেশনে থাকা অনুসন্ধান কেন্দ্রে। চলে ভাঙচুর। বেশ কয়েকজন রেল কর্মী আহত হন বলেও খবর। তার মধ্যেই জানা গেল রেলের নতুন সিদ্ধান্তের কথা। তাতেই যেন খানিকটা স্বস্তিতে যাত্রীরা।