দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বাংলার বুদ্ধিজীবীদের বেনজির ভাষায় আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা সৌমিত্র খাঁ ৷ রামপুরহাটের ঘটনার প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তিনি ফেসবুকে লিখলেন, বাংলার বুদ্ধিজীবীরা নির্লজ্জ। তবে এত সংযত ভাষায় নয়, এমনকি শালীনতার সীমাও অতিক্রান্ত।
রামপুরহাটের সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ড নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা রাজ্যকে। রাতের অন্ধকারে বন্ধ ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয়েছে আট জনকে। শাসকদলের নেতা খুনের পরেই এমনটা ঘটেছে। মৃতরাও তৃণমূলের সমর্থক বলে খবর। এই ঘটনায় রাজ্য-রাজনীতি তোলপাড়। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদের বান ডেকেছে। বগটুই গ্রামের সেই ঘটনায় এবার কড়া প্রতিক্রিয়া দিলেন সৌমিত্র খাঁ ৷
বুধবার দুপুরে ফেসবুকে বিষ্ণুপুরের সাংসদ একটা ছবি পোস্ট করেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, এক মহিলা দু’চোখে দুটি কনডোম ধরে রয়েছেন। আর ছবিতে লেখা আছে, “বাংলার বুদ্ধিজীবীরা এখন চোখে কন্ডোম বেঁধে ল্যাংটা হয়ে ঘুমাচ্ছে।” এমন ক্যাপশনও তিনি লিখেছেন ছবির সঙ্গে।
বস্তুত, অভিযোগ মিথ্যা নয়। বগটুইয়ের ঘটনায় চারদিকে যখন ছিছিক্কার, তখন পশ্চিমবঙ্গের তথাকথিত বুদ্ধিজীবীদের কাউকে মুখ খুলতে দেখা যায়নি। এখনও পর্যন্ত তাঁরা চুপ করেই আছেন। সব্বার মুখে কুলুপ। বুদ্ধিজীবীদের এই আচরণকেই এক হাত নিয়েছেন সৌমিত্র খাঁ ৷ তবে তাঁর আক্রমণের ভাষা শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়েছে বলেই দাবি নেটিজেনদের একাংশের।
বাংলার রাজনীতিতে কন্ডোম বিতর্ক নতুন নয়। কবি শ্রীজাতর ত্রিশূলে কন্ডোম পরানোর বিতর্ক কিংবা তৃণমূল যুবনেত্রী তথা টলি তারকা সায়নী ঘোষের শিবলিঙ্গে বুলাদির কন্ডোম পরানোর বিতর্ক এখনও ভোলেনি মানুষ। বগটুইয়ের ঘটনার হাত ধরে সেই বিতর্কের ধারাতেই যেন নাম লিখিয়ে ফেললেন সৌমিত্র খাঁ ৷
https://www.facebook.com/1328538307199555/posts/4938558382864178/
সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর এই মন্তব্যের সমালোচনা করেছেন অনেকেই। অনেকেই বলছেন সৌমিত্র একজন জনপ্রতিনিধি। তাঁর ভাষা আরও সংযত হওয়া দরকার। অনেকেই আবার সপাটে জানিয়েছেন, সৌমিত্র যা লিখেছেন ঠিক লিখেছেন। বাংলার বুদ্ধিজীবীরা এমন প্রতিক্রিয়ায় পাওয়ার যোগ্য। তবে এসব নিয়ে পাল্টা কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও দেননি বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ।