অর্পিতা বনিক, বনগাঁ:আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিনের ব্যাপার। ২৬ জানুয়ারি এই বছর সরস্বতী পুজো হবে। বিদ্যার দেবী মা সরস্বতীর আরাধনায় মেতে উঠবে গোটা বাংলা। এখন স্কুল-কলেজের পাশাপাশি পাড়ায় পাড়ায় সেই নিয়ে প্রস্তুতি চলছে। বনগাঁয় এবছর দুর্গা পুজোর মত খুঁটিপুজো সেরে ফেলেছে সরস্বতী পুজোর জন্য৷
করোনা পর্ব কাটিয়ে এই বছর পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। ফলে সরস্বতী প্রতিমার চাহিদা অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করছেন বনগাঁর মৃৎশিল্পীরা।
বনগাঁর স্কুল-কলেজে ইতিমধ্যে সরস্বতী পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। পাড়ার পুজো কমিটিগুলো আর কয়েক দিনের মধ্যে মণ্ডপ তৈরির কাজ শুরু করবে। এই পরিস্থিতিতে এখন চূড়ান্ত ব্যস্ততা বনগাঁর কুমোরটুলিতে। মৃৎশিল্পীরা জোরকদমে সরস্বতী মূর্তি তৈরির কাজ করছেন। তবে বনগাঁর আবহাওয়া যেন সেই কাজে বাধ সেধেছে। দিনের বেশিরভাগ সময় কুয়াশাচ্ছন্ন হয়ে থাকছে চারপাশ। ফলে মাটির সরস্বতী মূর্তিগুলো শুকোতে সময় লাগছে। তবে এই বছর বিক্রি নিয়ে বেশ আশাবাদী মৃৎশিল্পীরা। দেখুন ভিডিও:
বনগাঁর কুমোরটুলির প্রতিমা শিল্পী সেন্টু ভট্টাচার্য্য এই প্রসঙ্গে বলেন, “দীর্ঘ ২ বছর করোনার কারণে সরস্বতী মূর্তি বিক্রি খুব একটা ভাল হয়নি। তবে এবছর পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। তাই মূর্তির সংখ্যা অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে। আশা করি ভাল বিক্রিবাটা হবে এবং দুটো পয়সার মুখ দেখতে পারব আমরা।”
অপর প্রতিমা শিল্পী স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, ” বনগাঁয় ইতিমধ্যেই শীতের আমেজ বেশ জাঁকিয়ে পড়তে শুরু করেছে। তাই দিনের বেশিরভাগ সময় কুয়াচ্ছন্ন হয়ে থাকছে পরিবেশ। মূর্তির মাটি শুকোতে অনেকটা সময় লাগছে। তাই কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তবে সকলেই এই বছর বিক্রি ভাল হওয়ার আশা করছে।”
আবহাওয়া যদি এইরকম থাকে তবে সরস্বতী পুজোর আগে রাত জেগে টানা কাজ করতে হবে বনগাঁর মৃত শিল্পীদের। তবে সকলেরই আশা আবহাওয়ার উন্নতি হবে। রাতে জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়লেও দিনের বেলা চড়া রোদ উঠবে আবার।