দেশের সময় ,বনগাঁ: বসন্তের মরশুমে বেলা বাড়তেই পারদ চড়ল বনগাঁয়।
সোমবার সকালে বনগাঁয় শঙ্ক আঢ্যের বাড়ির এলাকায় গেল সিবিআই। ফরেন্সিক দল সহ বিশাল কেন্দ্রীয় বাহিনী, নিয়ে সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা এদিন বনগাঁয় পৌঁছেছেন। বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান তথা রেশন ‘দুর্নীতি’কাণ্ডে ধৃত শঙ্করের বাড়িতে ইডির উপর হামলার ঘটনার তদন্ত করতে গিয়েছে সিবিআই।
দেখুন ভিডিও
জানা গেছে , শংকর আঢ্যর স্ত্রীয়ের সঙ্গে কথা বলে তাঁর বাড়ির গেটের ভিতরে ঢুকেছেন সিবিআই-এর তদন্তকারীরা। গোটা বাড়ি ঘিরে ফেলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।
কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে ইডির উপর হামলার ঘটনার তদন্ত করছে সিবিআই। এর আগেও সিবিআইয়ের দল শঙ্করের বাড়ির এলাকায় গিয়েছিল। তবে তখন তারা বাড়ির ভিতরে ঢোকেনি। সোমবার বাড়িতে ঢুকেও তল্লাশি চালানো হচ্ছে। সে দিন রাতে কারা ছিলেন, ইডিকে কারা বাধা দিয়েছিলেন, এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
একইসঙ্গে বনগাঁ পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান গোপাল শেঠের বাড়িতেও পৌঁছে গিয়েছেন সিবিআই-এর আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, তাঁর কাছ থেকে নির্দিষ্ট কিছু ফুটেজ চান সিবিআই-এর তদন্তকারীরা। যদিও গোপাল শেঠ জানান, ২৫ দিনের বেশি ফুটেজ থাকে না। তাই যে নির্দিষ্ট ফুটেজ সিবিআই চাইছে তা তাঁর কাছে নেই বলেই জানান গোপাল শেঠ।
সিবিআই সূত্রে খবর, গত ৫ জানুয়ারি ঠিক কী ঘটেছিল, তা পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে জানতে চাইছে সিবিআই। আর সেই কারণেই এদিন সঙ্গে করে ফরেন্সিক দলকেও নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গোটা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখছেন ফরেন্সিক টিমের সদস্যরা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য,গত ৫ জানুয়ারি শঙ্করের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল ইডি। সে দিনই রাতে শঙ্করকে গ্রেফতার করে গাড়িতে তোলা হয়। শঙ্করকে নিয়ে যাওয়ার সময়ে বাধার সম্মুখীন হয় ইডি ।
অভিযোগ শঙ্করের অনুগামীরা বিক্ষোভ দেখান সেদিন এবং ইডির গাড়িতে ইট ছোড়া হয় ।
শঙ্কর বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছেন। তাঁকে রেশন মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা ছিল বলে দাবি করেছে ইডি। যদিও শঙ্কর নিজে সে সব দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন।
গত ৫ জানুয়ারি শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে উত্তেজিত জনতার হাতে মার খেতে হয়েছিল ইডি আধিকারিকদের। এমনকি, তাঁদের হাসপাতালে ভর্তিও করানো হয়েছিল। সেই ঘটনায় সন্দেশখালির ন্যাজাট থানায় দায়ের হওয়া দু’টি এফআইআর এবং অনুরূপ ঘটনার প্রেক্ষিতে বনগাঁ থানায় দায়ের হওয়া এফআইআরের তদন্ত করছে সিবিআই। ওই দিনের পর থেকে শাহজাহান ‘নিখোঁজ’ ছিলেন। গত ২৯ ফেব্রুয়ারি তাঁকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশ। পরে আদালতের নির্দেশে তাঁকে তুলে দেওয়া হয় সিবিআইয়ের হাতে।