
ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর পাল্টা প্রত্যাঘাত করতে গেছিল পাকিস্তান। বুধবার রাতে ভারতের ১৫টি সেনা ক্যাম্পে হামলা চালানোর চেষ্টা করে তারা। কিন্তু সেই হামলা যে ভারতীয় বাহিনী শুধু প্রতিরোধই করেছে তা নয়, বরং পাক ‘এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম’ ধ্বংস করে দিয়েছে। ইতিমধ্যে এই নিয়ে বিবৃতিও দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
‘অপারেশন সিঁদুর’ এর পর কোনও বাহাদুরি দেখাতে এলে পাকিস্তানের পরিণতি ভাল হবে না, এমনটা বুধবারই জানিয়ে দিয়েছিল ভারতীয় সেনাবাহিনী। সেই সতর্কবার্তা অগ্রাহ্য করে ভারতের মাটিতে অভিযান চালাতে গিয়ে পালটা হামলায় গুঁড়িয়ে গেছে পাকিস্তান এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। যার নেপথ্যে রাশিয়ার থেকে কেনা এস ৪০০ অ্যান্টি মিসাইল সিস্টেম। সেনারা যার নাম দিয়েছে ‘সুদর্শন চক্র’।

সরকারি জানিয়েছে, বুধবার রাতে এবং বৃহস্পতিবার সকালে ভারতের কয়েকটি জায়গায় সেনাছাউনিতে ড্রোন এবং মিসাইল হামলার ছক কষেছিল পাকিস্তান। তার মধ্যে রয়েছে শ্রীনগর, পঠানকোট, অমৃতসর, লুধিয়ানা এবং চণ্ডীগড়। কিন্তু পাক সেনার সেই পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে ভারতীয় সেনাও তার জবাব দিয়েছে। তাতে লাহৌর-সহ পাকিস্তানের একাধিক জায়গায় এয়ার ডিফেন্স রেডার সিস্টেম ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এ কাজে ‘ইন্টিগ্রেটেড কাউন্টার ইউএএস গ্রিড’ সিস্টেম ব্যবহার করেছে ভারত।

নয়াদিল্লি জানিয়েছে, জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগর, পাঠানকোট, জম্মু, অবন্তীপুর ছাড়া পাঞ্জাবের অমৃতসর, লুধিয়ানা, চণ্ডীগড় সহ একাধিক জায়গায় ড্রোন হামলা করার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের দ্বারা সেই ড্রোনগুলি নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। আর পাল্টা হামলা করে লাহোর সহ পাকিস্তানের একাধিক শহরের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, পাকিস্তানের এইচকিউ-৯ মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেম ইউনিট যা চিনের তৈরি করা, তা ধ্বংস করেছে ভারত। আর এর জন্য ব্যবহার করা হয়েছে ইজরায়েল নির্মিত ‘হারপ’ ড্রোন।

এই প্রতিরোধ অভিযানে ব্যবহৃত রাশিয়ার তৈরি অ্যান্টি মিসাইল সিস্টেম বিশ্বের সবচেয়ে উন্নতমানের, যা ৬০০ কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তু খুঁজে ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত পরিসরে হামলা প্রতিহত করতে সক্ষম।
ভারতের আকাশকে সুরক্ষিত করতে ২০২১ সালে রাশিয়ার সঙ্গে ‘এস-৪০০ ট্রায়াম্ফ’-এর প্রতিরক্ষাচুক্তি করে নয়াদিল্লি। এ দেশের বায়ুসেনাকে এই হাতিয়ার তুলে দিতে ৫৪০ কোটি ডলার খরচ করে কেন্দ্র।

রুশ ‘এস-৪০০’কে দুনিয়ার আধুনিকতম ‘ভূমি থেকে আকাশ’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা (সারফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম) বলে গণ্য করা হয়। গত তিন বছর ধরে চলা ইউক্রেন যুদ্ধে নিজের জাত চিনিয়েছে এই হাতিয়ার।
বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, মস্কো-সহ অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ শহরকে যে ক্ষেপণাস্ত্রের সাহায্যে কিভ নিশানা করতে পারেনি, তার অন্যতম কারণ হল ‘এস-৪০০’। সেগুলিকে মাঝ আকাশেই ধ্বংস করেছে ক্রেমলিনের কবচ।পহেলগামে সন্ত্রাসবাদী হানায় ২৬ জনের মৃত্যুর পরে জঙ্গিদের জবাব দিতেই মঙ্গলবার রাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান চালায় ভারত। মাত্র ২৫ মিনিট অভিযানে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডে মোট ৯টি জঙ্গি শিবির গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত। সেগুলির মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডে থাকা বাহাওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদের মূল ঘাঁটি এবং মুরিদকে-তে লশকর-এ-ত্যায়বার মূল ঘাঁটি। জইশের মূল ঘাঁটিতে হামলায় প্রাণ হারিয়েছে সেই জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রধান মাসুদ আজ়হারের পরিবারের দশ জন, যাদের মধ্যে রয়েছে তার ভাই, বোন ও ভাইপো। সব মিলিয়ে কমপক্ষে ৭০ জন জঙ্গির প্রাণহানির খবর মিলেছে।
পহেলগামে সন্ত্রাসবাদী হানায় ২৬ জনের মৃত্যুর পরে জঙ্গিদের জবাব দিতেই মঙ্গলবার রাতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান চালায় ভারত। মাত্র ২৫ মিনিট অভিযানে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর এবং পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডে মোট ৯টি জঙ্গি শিবির গুঁড়িয়ে দিয়েছে ভারত। সেগুলির মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানের মূল ভূখণ্ডে থাকা বাহাওয়ালপুরে জইশ-ই-মহম্মদের মূল ঘাঁটি এবং মুরিদকে-তে লশকর-এ-ত্যায়বার মূল ঘাঁটি। জইশের মূল ঘাঁটিতে হামলায় প্রাণ হারিয়েছে সেই জঙ্গি গোষ্ঠীর প্রধান মাসুদ আজ়হারের পরিবারের দশ জন, যাদের মধ্যে রয়েছে তার ভাই, বোন ও ভাইপো। সব মিলিয়ে কমপক্ষে ৭০ জন জঙ্গির প্রাণহানির খবর মিলেছে।

ওই ঘটনার পর বুধবার রাতেই পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ভারতকে। বলেছিলেন, ‘‘ভারতকে এই হামলার মাসুল দিতে হবে।’’ প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফেও জানানো হয়েছিল, ভারতের আকাশপথে হামলার জবাবে ‘আত্মরক্ষার অধিকার’ আছে পাকিস্তানের। নিজেদের পছন্দের সময়, স্থান ও পদ্ধতিতে এর জবাব দেবে পাকিস্তান। সেই সঙ্গে দাবি করা হয়, নিরীহ পাকিস্তানি নাগরিকদের নিশানা করে ‘নগ্ন আগ্রাসন’ চালিয়েছে ভারত। শাহবাজ়ের বক্তব্য, “পাকিস্তানের উপরে এই ঘৃণ্য হামলার জন্য ভারত শাস্তি পাবে। ভারত একতরফা ভাবে আক্রমণ করেছে। প্রতিরোধের অধিকারবশত পাকিস্তানে প্রত্যাঘাতের প্রস্তুতি চলছে।” ঘটনাচক্রে, তার পরেই ভারতের উপর হামলার পরিকল্পনা। যা ভেস্তেও গিয়েছে।