দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ ইউক্রেনে হামলার তীব্র নিন্দা করছে গোটা বিশ্ব। এখন কার্যত বিশ্বে কোণঠাসা রাশিয়া । রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে সে দেশের নাগরিকেরাও। সোশ্যাল মিডিয়া ভরে উঠছে সমালোচনায়। ইতিমধ্যেই রাশিয়ার বিভিন্ন শহরের পথে নেমেছেন সাধারণ মানুষ। ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধ করার দাবিতে সোচ্চার অধিকাংশ বাসিন্দাই। তাই এবার দেশবাসীর কণ্ঠরোধ করতে ফেসবুক, টুইটার সহ একাধিক সংবাদমাধ্যমও নিষিদ্ধ করে দিল রাশিয়া৷
রুশ প্রশাসনের দাবি, যুদ্ধ নিয়ে ভুয়ো খবর ছড়ানো হচ্ছে। পরমাণু হামলা নিয়ে এতদিন ভুল খবর রটিয়েছে পশ্চিমের দেশগুলি। ফলে রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে ভ্রান্ত ধারণা তৈরি হচ্ছে। তাই রাশিয়ায় ফেসবুক, টুইটার ও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইউক্রেনের যুদ্ধ থামাতে রাশিয়ার নাগরিকেরা যে সোচ্চার হয়েছেন, তা বন্ধ করতেই এই পদক্ষেপ গ্রহণ নিয়েছে রুশ সরকার।
On the Russian government's decision to block access to Facebook in the Russian Federation: pic.twitter.com/JlJwIu1t9K
— Nick Clegg (@nickclegg) March 4, 2022
মস্কোর কয়েকটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বিভিন্ন ওয়েবসাইটও খুলছে না রাশিয়ায়। কয়েকটি গণমাধ্যমে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যুদ্ধ নিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে যাতে লেখালিখি না করা যায় তার জন্য এই প্রচেষ্টা।
ক্রেমলিনের তরফে জানানো হয়েছিল, প্রতিবেশী ইউক্রেনে যে সামরিক অভিযান শুরু করা হয়েছে, তা কোনও আক্রমণ বা সামরিক অভ্যুত্থান নয়। বরং পশ্চিমী বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হাত থেকে রক্ষা করার জন্যই এই অভিযান শুরু করা হয়েছে। তবে ক্রেমলিনের এই দাবি মানতে চায়নি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমই। রাশিয়ার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয় তারা।
রুশ প্রশাসনের দাবি, ২০২০ সালের অক্টোবর থেকে রাশিয়ার প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করছে ফেসবুক। আরটি এবং আরআইএ-র মতো রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমগুলিকে নিষিদ্ধ করে রেখেছে তারা। অথচ রাশিয়ার বিরুদ্ধে মত পোষণকারী সংস্থাগুলিকে বেশি প্রচারের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। চলতি সপ্তাহে ফেসবুক জানায়, ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম মারফত রুশ সরকারের হয়ে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। তার পরই শুক্রবার ফেসবুক এবং টুইটারকে দেশে নিষিদ্ধ করে ক্রেমলিন।