সঙ্গীতা চৌধুরী ও সৃজিতাশীল , কলকাতা একে থ্রিলার তারপর আবার রোম্যান্স – এই দুইয়ের ওপর ভর করেই আসছে ‘ রবিন্স কিচেন’। নামের মধ্যে যখন কিচেন রয়েছে বোঝাই যাচ্ছে ছবিতে খাবারেরও একটা প্রাধান্য রয়েছে। ‘অহল্যা’ – র পর বনি সেনগুপ্ত এবং প্রিয়াঙ্কা সরকার জুটিকে আবার একসঙ্গে দেখা যাবে এই ছবিতে। পরিচালক বাপ্পা। ‘ পান্ডে মোশন পিকচার্স ‘- এর ব্যানারে মুকেশ পান্ডে প্রযোজিত থ্রিলারধর্মী ছবিটি অন্য থ্রিলারগুলোর থেকে একেবারেই আলাদা। দেখুন ভিডিও
ছবির কাহিনীকার ও পরিচালক বাপ্পা জানান, ‘ দর্শকদের জন্য একেবারেই একটা অন্যরকম ছবি বানিয়েছি। খাবার নিয়ে থ্রিলার এখনো অবধি বাংলায় তৈরি হয় নি। বাঙালি যেহেতু খাবার খেতে ভালোবাসে তাই আমার ধারনা যে বাঙালি দর্শকদের ছবিটি পছন্দ হবে।’ ছবির কাহিনী প্রসঙ্গে তরুণ পরিচালক বলেন, ‘ এটা একটা নিপাট প্রেমের গল্প, যার মধ্যে দর্শকদের জন্য অনেক চমক অপেক্ষা করবে, থ্রিলার ছবিতে এর বেশি আর ভাঙা যাবে না।’
ছবির প্রেক্ষাপট তৈরি হয়েছে রবিন নামে একটি মধ্যবিত্ত যুবককে ঘিরে। যে ছোটবেলা থেকেই মায়ের হাতের রান্না পছন্দ করে। সে স্বপ্ন দেখে বড় হয়ে একটি রেস্তোরাঁ খুলে মায়ের হাতের রান্না দিয়ে সকলের মন জয় করবে। পরবর্তীকালে বন্ধুদের নিয়ে বহুকষ্টে একটি ক্যাফে খোলে, যার নাম রাখে ‘ রবিন্স কিচেন’। এখানেই চাকরির খুঁজতে আসে নীহারিকা। এরপর একসঙ্গে কাজ করতে করতে তাদের মধ্যে একটা সম্পর্ক তৈরি হয়। কিন্তু সেখান থেকেই কাহিনী অন্য দিকে মোড় নেয়।
ছবির প্রধান চরিত্র রবিন ওরফে বনি বলেন, ‘ খাবার নিয়ে থ্রিলার প্রথমে খুব অবাক হয়েছিলাম ! কিন্তু শেষ অবধি হয়েই গেল। থ্রিলার বরাবরই আমার খুব পছন্দের। কারণ সবসময়ই একটা সাসপেন্স তাড়া করে বেড়ায় ! যেটা সিটে বসিয়ে রাখে। একদম অন্য কনসেপ্টে ছবিটি তৈরি হয়েছে। এখানে আমার চরিত্রটা একটু ইন্ট্রোভাট। কিন্তু খুব সিরিয়াস। রবিনের একটা স্ট্রাগল দেখানো হবে।’
কাহিনীর নীহারিকা চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রিয়াঙ্কা সরকার, ছবি প্রসঙ্গে জানান, ‘ বনি আমার বহুদিনের বন্ধু, ওর সঙ্গে কাজ করে খুব ভালো লাগলো। এটা আমার দ্বিতীয় কাজ। খুব ভালো কাজের অভিজ্ঞতা হলো ‘ অভিনেত্রীর আরও সংযোজন ‘ রবিন্স কিচেন এখানে একটা চরিত্র। কলকাতার আশেপাশে আজকাল প্রচুর ক্যাফে দেখা যায়। কিন্তু সেই সব ক্যাফে তৈরি হওয়ার পেছনে একটা গল্প থাকে। বা ক্যাফেটা কিভাবে চলছে !
আমরা সাধারণত তা জানি না। এখানে সেরকমই একটা গল্প তুলে ধরা হয়েছে। নীহারিকার চরিত্রটা কাহিনীতে একটু ভিন্ন ধরনের। খুব কম কথা বলা শিক্ষিত ও স্মার্ট একটি মেয়ে। যে কারো সামনে কোন কথা ঠিক করে বলতে পারে না। একটু মানসিক সমস্যার মধ্যে থাকা মেয়েটিকে সঙ্গী করেই গল্প এগোবে।’ ছবির অন্য বিশেষ চরিত্রগুলোতে দেখা যাবে শান্তনু নাথ, কেশব ভট্টাচার্য ও সস্রীক গঙ্গোপাধ্যায়কে। ছবির সঙ্গীত পরিচালক অর্ণব চক্রবর্তী। ১৯ জুলাই ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে।