দেশের সময় কলকাতা : কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে শুক্রবার ফের পথে নেমেছে কলকাতা। চলছে মশাল মিছিল। শহরের বিভিন্ন রাস্তা, ক্রসিং মিলিয়ে মোট ৪২ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করবে মিছিল। ইএম বাইপাসের হাইল্যান্ড পার্ক থেকে যাত্রা শুরু করে এই মিছিল যাবে শ্যামবাজার অবধি। রাত ১২টায় শেষ হবে এই ৪২ কিমি র্যালি ডাক। বিচারের দাবিতে মিছিলে পা মেলাবেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষ।
ইতিমধ্যেই মশাল মিছিলে যোগ দিয়েছেন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স সহ সর্বস্তরের স্বাস্থ্য কর্মী, শিক্ষক, লেখক শিল্পী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়া, চলচ্চিত্র ও নাট্য কর্মীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ। মিছিল এসএসকেএম সহ বেশ কয়েকটি মেডিকেল কলেজের পাশ দিয়ে যেতে চলেছে।
এই নাগরিক উদ্যোগের আয়োজকেরাও বলেছেন, মিছিলে যোগদানের পূর্ব শর্ত, দলের ঝাণ্ডা নিয়ে আসা যাবে না। এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে, তিলোত্তমার জন্য একসাথে, এক পথে।
আরজি করের ঘটনার প্রতিবাদে রাত দখলের আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্সির গবেষক ছাত্রী রিমঝিম সিনহা। তিনি শুক্রবারের মশাল মিছিলের অন্যতম আয়োজক। তিনি জানান, রাত দখলের কর্মসূচির দিনেই ঘোষণা করা হয়েছিল আরজি করের ঘটনায় দোষীদের সাজা না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। শুক্রবারের মিছিল চলমান আন্দোলনের আর একটি ধাপ।
জানা গিয়েছে, মশাল মিছিলে যোগ দিয়েছেন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স সহ সর্বস্তরের স্বাস্থ্য কর্মী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়া, শিক্ষক, লেখক শিল্পী, চলচ্চিত্র ও নাট্য কর্মীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ।
মিছিল এসএসকেএম সহ বেশ কয়েকটি মেডিকেল কলেজের পাশ দিয়ে যাবে। উদ্যোক্তারা আরজি কর হাসপাতালে মশাল নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। তবে সেখানে এখন মিটিং মিছিলে নিষেধাজ্ঞা আছে। তাই রাতে শ্যামবাজারে এসে শেষ হবে মিছিল।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য , শুক্রবারস্বাস্থ্যভবন থেকে সিজিও কমপ্লেক্স পর্যন্ত মিছিল করে ধরনা তুললেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। ধরনা তোলার ঘোষণা বৃহস্পতিবার রাতেই করেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। বন্যা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে রাজ্যের নানা প্রান্তে ক্লিনিক খোলার কথাও জানানো হয়। এদিনই সেখানে পৌঁছাতেও শুরু করেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। তবে তাদের সব দাবি না মিটলে ফের তাঁরা অবস্থানে ফিরবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন। এরইমধ্যে শুক্রবারের মিছিল থেকে বারাবার উঠল তিলোত্তমা হত্যার বিচারের দাবি। খানিক চাপ বাড়ল সিবিআইয়ের উপরেও।
মিছিলে হাঁটতে হাঁটতেই এক জুনিয়র ডাক্তার বললেন, “আমরা রাজনীতি করতে চাইলে এতদিন ধরে দাবি-দাওয়া নিয়ে বসে থাকতাম না। চেয়ারের লড়াই শুরু করতো। সেটা আমরা করিনি। হাসপাতাল থেকে শুরু করে সামগ্রিক স্বাস্থ্য কাঠামো নিয়ে যে দাবিতে আমরা ছিলাম সেখানেই আছি। আর বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হতেই আমরা ধরনা তুলে বন্যা দুর্গত জায়গায় যাচ্ছি। তাই রাজনীতির কথা বলে আমাদের মনের জোর কমানো যাবে না।”
জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গেই এদিন মিছিলে পা মেলাতে দেখা যায় অন্য পেশার বহু মানুষকেই। একইসঙ্গে তোলেন উই ওয়ান্ট জাস্টিস স্লোগান। অন্যদিকে বিশাল মশাল মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে নাগরিক মঞ্চের তরফেও। হাইল্যান্ড পার্ক থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত চলছে মশাল মিছিল। মিছিলে যোগ দিয়েছেন অনেক বিশিষ্ট চিকিৎসক। পথে নেমেছেন অনেক শিল্পী।