সোমবার সাজা ঘোষণা আরজি কর কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়ের। সাড়ে ১২টার কিছু পর সেই মামলার শুনানি শুরু হয়। তবে এখনই সাজা ঘোষণা করলেন না শিয়ালদহ আদালতের বিচারক। তিনি জানান তাঁর সময় চাই। দুপুর পৌনে ৩টেয় সাজা ঘোষণা করতে পারেন তিনি। সঞ্জয়ের আইনজীবীরা সওয়াল করেন মৃত্যুদণ্ডের বিরোধিতা করে।
সঞ্জয়ের আইনজীবী এদিন দাবি করেন, বিভিন্ন আদালতে মৃত্যুদণ্ড সমালোচিত হয়েছে। তাই অলটারনেটিভ শাস্তি দেওয়া হোক বলে দাবি করেন তিনি। তিলোত্তমার আইনজীবী বলেন, সিভিক ভলেন্টিয়ার ছিল। এটা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তোলেনি। তাই সর্বোচ্চ সাজা চাই। একাধিক জায়গায় শীর্ষ আদালতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বিচারক অনির্বাণ দাস বলেন, ‘হ্যাঁ সেটা দেখেছি। বিভিন্ন কারণ হতে পারে। কিন্তু মৃত্যুদণ্ড হয়েছে।’
সোমবার বিচারপতি অনির্বাণ দাস দোষী সাব্যস্ত সঞ্জয় রায়কে বলেন, ‘আপনার বিরুদ্ধে যা অভিযোগ এসেছে, তা প্রমাণিত। আগেই তা আপনাকে বলেছিলাম, এর জন্য আপনার সর্বোচ্চ সাজা বা যাবজ্জীবন হতে পারে।’
বিচারকের কথা শুনে সঞ্জয় ফের দাবি করে, ‘আমাকে দিয়ে যেরকম ভাবে ইচ্ছা, যেখানে সেখানে সই করানো হয়েছে। আমার মেডিক্যাল করতে নিয়ে যাওয়ার সময় গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।’ সঞ্জয়ের কথা শেষ করতে দিয়ে বিচারক দাস বলেন, ‘আমার বিচার্য বিষয় হচ্ছে যা যা এভিডেন্স এসেছে তার উপর ভিত্তি করে বিচার করা।’
মনে করা হচ্ছিল এরপরই সাজা ঘোষণা করলেন বিচারক। কিন্তু তিনি তা না করে সময় চেয়ে নিয়েছেন। জানিয়েছেন, দুপুর ২.৪৫ নাগাদ ফের এজলাস বসবে। সেই সময়ে সাজা ঘোষণা করা হবে।
গত ৯ অগস্ট আরজি কর হাসপাতালে খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় সঞ্জয় রাইকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তিনটি ধারায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তিনি, যার সর্বোচ্চ সাজা হতে পারে মৃত্যুদণ্ড।