রেশন দুর্নীতির তদন্তে কোমর বেঁধে ময়দানে নেমেছে ইডি। সম্ভবত আগামী সপ্তাহেই এই মামলায় দ্বিতীয় চার্জশিটটি জমা দিতে পারে ইডি। সূত্রের দাবি, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের সেই চার্জশিটে চমকে দেওয়ার মতো একাধিক তথ্য থাকতে পারে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, শংকর আঢ্যদের নিয়ে এমন কিছু তথ্য চার্জশিটে থাকতে পারে যা প্রকাশ্যে এলে লোকসভা ভোটের মুখে হুলস্থূল কাণ্ড বেঁধে যেতে পারে।
দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ রেশন দুর্নীতি মামলায় দ্বিতীয় চার্জশিট দিতে চলেছে ইডি। আগামী সপ্তাহের মঙ্গলবার চার্জশিট দেওয়ার সম্ভবনা। বনগাঁ পৌরসভার প্রাক্তন পৌরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য এবং তাঁর বিভিন্ন ফরেক্স সংস্থার বিরুদ্ধে চার্জশিট দেবে ইডি। শঙ্কর ছাড়াও, তাঁর পরিবারের আরও কয়েকজনের নাম চার্জশিটে উল্লেখ থাকার সম্ভবনা। নাম উল্লেখ থাকার সম্ভবনা ফরেক্স ছাড়াও শঙ্কর ও তাঁর পরিবারের আরও কয়েকটি কোম্পানির। রেশন দুর্নীতির টাকা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাত থেকে কীভাবে শঙ্করের মাধ্যমে বিদেশে পাচার হয়েছে তাঁর উল্লেখ চার্জশিটে। উল্লেখ থাকবে দুবাইতে যে সংস্থায় রেশন দুর্নীতির টাকা লগ্নি করা হয়েছে তাঁর নামও। এর আগে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং বাকিবুর রহমানের বিরুদ্ধে রেশন দুর্নীতিতে চার্জশিট দিয়েছে ইডি।
রেশন দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও তাঁর ঘনিষ্ঠ বাকিবুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রথম চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি। সেখানে অন্তত ২০ হাজার কোটি টাকা রেশন দুর্নীতি মামলায় বিদেশে পাচার করা হয়েছে বলে ইডি চার্জশিটে উল্লেখ করেছে। ইডি-র দাবি, সেই টাকা শঙ্কর আঢ্য নামে বিদেশে পাচার করা হয়েছে। সেই সূত্রেই শঙ্করকে গ্রেফতার করা হয়।
রেশন দুর্নীতি মামলায় সন্দেশখালির সরবেড়িয়ার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়ে মাথা ফেটেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকের। ৫৬ দিনের মাথায় ওই ঘটনায় অভিযুক্ত শাহজাহানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই সময়ের মধ্যে তদন্ত চালিয়ে গিয়েছে ইডি। এবার রেশন দুর্নীতি মামলায় দ্বিতীয় চার্জশিট দিতে চলেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। সামনের সপ্তাহের মঙ্গলবার চার্জশিট দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সূত্রের খবর, এবার সেখানে শঙ্কর আঢ্যর নাম যেমন থাকছে, তাঁর পাশাপাশি পরিবারের একাধিক সদস্যের নাম থাকছে। রেশন দুর্নীতির মামলায় বিদেশি মুদ্রায় কনভার্ট করে পাচার করা হত। দুবাই ও UAE তে যে সংস্থাগুলোর মাধ্যমে লগ্নি করা হয়েছে এই দুর্নীতির টাকা, সেটাও এই চার্জশিটে উল্লেখ থাকবে বলে সূত্রের খবর।
এদিকে গ্রেফতার শাহজাহান এখন সিআইডি-র তত্ত্বাবধানে আছে। ইডি সূত্রে খবর, শাহজাহানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নতুন তথ্য উঠে আসবে। কিন্তু দীর্ঘ সময় নাগালের বাইরে থাকায় নথিপত্র কতটা মিলবে তা নিয়ে সংশয়ে আছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
তবে তাঁদের বদ্ধমূল ধারণা, ৫ জানুয়ারি শাহজাহানের অনুগামীরা ইডি আধিকারিকদের বাধা দিয়েছিল তার বাড়ি থেকে নগদ অর্থ বা নথি সরানোর জন্যই। পরে যখন ইডি শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে চালিয়েছিল তেমন কিছু উদ্ধার করতে পারেনি। কিন্তু তদন্তকারীরা মনে করছেন যতই নথিপত্র সরানো হোক অপরাধ করলে কোনও না কোনও প্রমাণ থেকে যাবেই।