দেশের সময়, কলকাতা: ২৫শে বৈশাখ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২ তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে দমদমের ঐতিহ্যবাহী নাট্যসংস্থা রবীন্দ্রনগর নাট্যায়ুধ আয়োজন করেছিল ‘কবি সন্ধ্যায় রবি প্রণাম’ নামে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। ৯ই মে মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় সংস্থার নিজস্ব নাট্যমঞ্চ আয়না ঘরে সমস্ত অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সংস্থার কর্ণধার নির্দেশক ড. দানী কর্মকার। তিনি বলেন, ‘বৈশাখ মাস এলেই বাঙালির মন ডুব দেয় রবীন্দ্রভাবনায়। আর ২৫ শে বৈশাখ হল বাঙালির অত্যন্ত গর্বের দিন। এই দিনটি আমরা প্রত্যেক বছর স্মরণ করি। এই বছরও তাঁর সৃজনে নিমগ্ন থেকে তাঁকে আমরা শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।’ এই দিন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা নাটক, রবীন্দ্রনৃত্য, সংগীত, কবিতা ইত্যাদির মধ্যে দিয়ে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা অর্পণ করা হয়। প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বৈদ্যনাথ প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষক রথীন কর্মকার। প্রথমেই রবি ঠাকুরের ছবিতে মালা দিয়ে ও প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়।
এরপর রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী রীতা রায়। একক নৃত্য পরিবেশন করেন বর্ণালী কর্মকার। ‘কর্ণকুন্তী সংবাদ’ পাঠ করেন গৌতম কুমার রায় ও বহ্নি চক্রবর্তী। সমবেত নৃত্য পরিবেশন করে অরিজিৎ মিত্রের পরিচালনায় নৃত্যছন্দম কলাকেন্দ্র। রবীন্দ্র কবিতা আবৃত্তি করেন অমিত কুমার আদিত্য ও ক্ষিতীশ রঞ্জন গুহ। মঞ্চস্থ হয় ড. দানী কর্মকারের আবহ, মঞ্চ ভাবনায় ও পরিচালনায় রবীন্দ্রনগর নাট্যায়ুধের রবীন্দ্রনাট্য ‘হাস্যকৌতুক’। অভিনয় করেন মিনু মল্লিক, বর্ণালী কর্মকার, রাজদীপ সাহা, অঙ্কিত সাউ, সবিতা চ্যাটার্জি, শুভ বিশ্বাস, বিনায়ক কর্মকার, ঈশান কর্মকার, ঋতপ্রভ সরকার, বিপ্রমান চক্রবর্তী। সমগ্র অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপনায় ছিলেন সীমা কর্মকার। অগণিত দর্শকের উপস্থিতি সমগ্র অনুষ্ঠানকে সাফল্যমণ্ডিত করে। অনেকেই আবেগাপ্লুত হয়ে যান। এলাকার মানুষদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।