দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বিশ্বভারতীর সমাবর্তন উপলক্ষে আজ, মঙ্গলবার শান্তিনিকেতনে আসছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু । রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর সিভি আনন্দ বোসও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন। সেই উপলক্ষে এখন শান্তিনিকেতনে সাজো সাজো রব। বাঙালি ও বাঙলা ভাষার প্রতি ভালবাসা আছে রাষ্ট্রপতির, সোমবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এ কথা নিজেই বলেছিলেন। আজ শান্তিনিকেতনে রাষ্ট্রপতির ভোজের জন্য থাকছে বাঙালি পদ। তবে সব পদই নিরামিষ।
আজ দুপুর ১২টা নাগাদ বিনয়ভবনের হেলিপ্যাডে নামবেন রাষ্ট্রপতি। সেখান থেকে তিনি যাবেন রথীন্দ্র অতিথিগৃহে। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার পর সেখানেই দুপুরের খাবার খাবেন। রাষ্ট্রপতির পছন্দের কথা মাথায় রেখে নিরামিষ পদই থাকছে মেনুতে। ভাত, রুটি, স্যালাড, আলুর ঝুরো চিপস্, মুগ ডাল, পটলের দোরমা, ভেন্ডি ভাপা সহ চাটনি, তাছাড়া থাকবে পোস্তর বড়া, পনির ও মাশরুমও। রকমারি বাঙালি পদের সঙ্গে থাকবে বেশ কয়েক’টি বিদেশি নিরামিষ পদও।
রাষ্ট্রপতির আপ্যায়ণে কোনও ত্রুটি রাখতে চাইছে না বিশ্বভারতী। বিশ্বভারতীর ঐতিহ্য ও রীতি মেনে তাঁকে বরণ করার পাশাপাশি আতিথেয়তায় সবরকম বন্দোবস্ত করেছে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। পাঠভবন লাগোয়া আম্রকুঞ্জের জহরবেদিকে সাজানো হয়েছে। আলপনা দিয়েছেন কলাভবনের পড়ুয়া ও অধ্যাপিকারা।
মধ্যাহ্নভোজের পর মঙ্গলবার আড়াইটে নাগাদ রবীন্দ্র ভবনের উদয়ন, কোণার্ক, শ্যামলী, পুনশ্চ, উদীচি— রবীন্দ্রনাথের স্মৃতিধন্য এই পাঁচটি বাড়ি পরিদর্শনের পর কলাভবন ঘুরে দেখবেন রাষ্ট্রপতি। দুপুর ৩টেয় আম্রকুঞ্জের জহরবেদিতে বিশ্বভারতীর সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। সেখানে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে থাকবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। বিশ্ববিদ্যালয়ের ন’টি ভবনের অধ্যক্ষদের হাতে ছাতিম পাতা তুলে দেবেন রাষ্ট্রপতি, এমনটাই জানা গিয়েছে বিশ্বভারতী সূত্রে।
সাজসজ্জার পাশাপাশি নিরাপত্তায় সবরকম ব্যবস্থাও নিয়েছে জেলা পুলিস ও প্রশাসন। বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরা। রাষ্ট্রপতি শান্তিনিকেতনে থাকাকালীন ক্যাম্পাস ও আশপাশে লোকজনের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সর্বক্ষণ ক্যাম্পাসের বাইরে পাহাড়ায় থাকবে পুলিশবাহিনী।