দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ বৃহস্পতিবার ইন্ডিয়া গেটে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর একটি পূর্ণাবয়ব গ্রানাইটের মূর্তি উন্মোচন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
নেতাজির ১২৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে গত ২৩ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী মোদী যেখানে নেতাজির হলোগ্রাম মূর্তি উন্মোচন করেছিলেন, ঠিক সেখানেই নেতাজির এই বিশাল মূর্তিটি স্থাপন করা হয়েছে। ২৮০ মেট্রিক টন ওজনের একক গ্রানাইট পাথরের ব্লক থেকে এই মূর্তিটি খোদাই করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত প্রসারিত সদ্য-নামাঙ্কিত কর্তব্য পথে মূর্তিটি উন্মোচন করা হয় । রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত সেন্ট্রাল ভিস্তা অ্যাভিনিউয়ের উদ্বোধনও করলেন তিনি।
কিংসওয়ে বা রাজপথ, যা ছিল ‘দাসত্বের প্রতীক’ এবং তা এখন ইতিহাসের অন্তর্ভুক্ত হল বলে অনুষ্ঠানের ভাষণে বলেন প্রধানমন্ত্রী। নেতাজির মূর্তিটি এমন জায়গায় বসল যা অনেক কাল ইতিহাসের পাতায় ভিন্ন কারণে পরিচিত ছিল। ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত সেখানেই ছিল রাজা পঞ্চম জর্জের মূর্তি। সেই বছর মূর্তিটি সেখান থেকে সরিয়ে ফেলা হয়।
এদিন কর্তব্য পথ-এরও সূচনাও করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দিল্লির রাজপথই হয়ে উঠল কর্তব্য পথ। এদিন নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘আজ কর্তব্য পথের মধ্যে দিয়ে আধুনিক ও শক্তিশালী ভারতের প্রাণপ্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। নেতাজি সুভাষচন্দ্রকে গোটা বিশ্ব নেতা হিসেবে মানত।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার পর নেতাজিকে ভুলে যাওয়া হয়েছে। গত ৮ বছরে আমরা একের পর এক এমন অনেক সিদ্ধান্ত নিয়েছি, যার মধ্যে নেতাজির আদর্শের ছাপ রয়েছে। আমাদের সরকারের প্রচেষ্টায় লালকেল্লায় নেতাজি ও আজাদ হিন্দ ফৌজের মিউজিয়াম তৈরি হয়েছে।’
ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নেতাজির নাম মানুষের মন থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। তিনিই ছিলেন অখণ্ড ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী। ২০১৪ সাল থেকেই আমরা নেতাজির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে দেশকে চালাচ্ছি। স্বাধীনতার পর থেকে তাঁর আদর্শই মেনে চললে আমাদের দেশ অনেক উন্নত হতো।
উল্লেখ্য, এইবছর নেতাজির জন্মদিনেই ইন্ডিয়া গেটে নেতাজির একটি হলোগ্রাম মূর্তির উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সেদিনই ঘোষণা করেছিলেন গ্রানাইট মূর্তি বসানোর খবর। অবশেষে আজ সেখানে নেতাজির মূর্তির আবরণ উন্মোচন করলেন। সূত্রের খবর, ২৮০ মেট্রিক টনের একটি গ্রানাইট পাথর কেটেই ওই বিশাল মূর্তিটি তৈরি করা হয়েছে। ভাস্করদের দলটির নেতৃত্বে ছিলেন অরুণ যোগীরাজ। ১৪০টি চাকা সহ ১০০ ফুট লম্বা ট্রাকে করে তেলেঙ্গানার খাম্মাম থেকে বিশাল গ্রানাইট মূর্তিটি নতুন দিল্লিতে আনা হয়।