দেশের সময় ওয়েবডেস্কঃ উৎসবের আবহে চতুর্দিকে যখন ছুটির হাওয়া, তখনও ফুরসৎ মেলে না চিকিৎসকদের। ভিড় কমে না হাসপাতালে। কিন্তু এইবারের পুজোর মাসে যেন বেশিই থাবা বসিয়েছে অসুখ! অন্তত তেমনটাই বলছে পিজি হাসপাতালের পরিসংখ্যান। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে অক্টোবরের ১৭ তারিখে ১৭ হাজার মানুষের চিকিৎসা হল এই হাসপাতালের আউটডোরে ! পরিস্থিতি এমনই, নাওয়াখাওয়ার সময় মেলেনি চিকিৎসক ও অচিকিৎসক স্বাস্থ্যকর্মীদের।
পিজি হাসপাতাল সূত্রের খবর, তথ্য অনুযায়ী, ১৭ অক্টোবর নতুন ও পুরনো মিলিয়ে প্রায় ১৮০০ রোগী এসেছিলেন মেডিসিন বিভাগে। সার্জারি বিভাগে আসেন প্রায় ৭০০ জন, গাইনিতে ৮৫০ জন, চর্মরোগ বিভাগে ১১৫০ জন, অর্থোপেডিকে ১২২০ জন, ইএনটি-তে ৯০০ জন। এছাড়াও নিউরোমেডিসিন ও নিউরোসার্জারিতে এসেছিলেন প্রায় ১৭০০ ও ৭০০ রোগী।
এইমুহূর্তে পিজিতে প্রায় ২৫০০ জন কর্মী এবং ১২০০ জন চিকিৎসক আছেন। কমবেশি ৩০০ জন চিকিৎসক ও কর্মী ৩৯টি আউটডোর পরিচালনা করেন সোম থেকে শনি। ছুটির দিন বাদ দিলে বছরের যে কোনও দিন রোগীর সংখ্যা হয় গড়ে ১২ হাজারের মতো। এতদিন একদিনে পিজির আউটডোরে সর্বোচ্চ রোগীর রেকর্ড ছিল, ১৫ হাজার ৬০০ রোগী।
কিন্তু এই বছর ১৭ অক্টোবর সে রেকর্ড ভেঙে গেল। ১৭ অক্টোবর আউটডোরে ১৭ হাজার মানুষ চিকিৎসা করাতে এসেছিলেন। তাই পিজির ৩১৫ বছরের ইতিহাসে এটি রেকর্ড হিসেবেই নথিভুক্ত।