
বন্ধন-মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের চাকা না গড়ালেও প্রেমের গাড়ির চাকা গড়াল তরতরিয়ে। কাঁটাতার, তিক্ত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক থেকে শুরু করে অন্য কোনও সমস্যাতেই ব্রেক লাগেনি ভালোবাসার গাড়িতে। অতঃপর, বাংলাদেশের মাগুরার মেয়ে পেশায় চিকিৎসক সঞ্চিতা ঘোষ এখন পূর্ব মেদিনীপুরার এগরার ‘ডাক্তারবাবু’, অনির্বাণ মহাপাত্রের স্ত্রী। ২১ ফেব্রুয়ারি পেট্রাপোল বন্দর অতিক্রম করে ভারতে পা রাখেন নবদম্পতি। দেখুন ভিডিও –
https://www.facebook.com/share/r/1BQNq6MhJu/

পূর্ব মেদিনীপুরার এগরার অনির্বাণ ঢাকায় গিয়েছিলেন ডাক্তারি পড়ার জন্য। সেখানেই তাঁর আলাপ হয় পদ্মাপারের কন্যা সঞ্চিতার সঙ্গে। ২০১৮ সাল থেকে দু’জনের প্রেম। সেই সময়ে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কও বেশ মধুর ছিল। হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই দুই রাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আমূল বদলেছে। কিন্তু আজও ততটাই মজবুত সঞ্চিতা এবং অনির্বাণের ভালোবাসা।

অবশেষে চলতি ফাল্গুনে বিয়ে করতে মাগুরাতে যান অনির্বাণ। ভিসার ঝক্কির জন্য ১৫ জনের বেশি বরযাত্রী নিয়ে যেতে পারেননি তিনি। অন্যদিকে, পাত্রীর তরফেও কেউ সঙ্গে আসতে পারেননি একই কারণে। বাংলাদেশের মাগুরাতেই তাঁদের চারহাত এক হয়। এরপর বরের হাত ধরে এ পার বাংলায় পা রাখেন সঞ্চিতাও।

পেট্রাপোল সীমান্ত পেরিয়ে সঞ্চিতা বার্তা, দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আবার হোক আগের মতো। ইলিশ পাঠানো হোক, ভালোবাসার জন্য সমস্ত দরজা-জানলা খোলা থাক। একই সুর শোনা গেল অনির্বাণের কণ্ঠেও। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই বিদ্বেষ ছড়ানোর চেষ্টা করলেও সেই চেনা পুরনো মধুর সম্পর্ক ফিরুক দুইদেশের , চাইছেন নবদম্পতি ।