দেশের সময় , ওয়েবডেস্কঃ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লোকসভায় হানা দেওয়ার জন্য যে চার জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে, তাঁদের সকলের মোবাইল ফোন ছিল এক জনের কাছে। তিনি আর কেউ নন, গোটা ঘটনার মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝা।
সূত্রের খবর, সে নিজেই কর্তব্য পথ থানায় আত্মসমর্পণ করে। গত বুধবার, সংসদ চত্বরে ঘটনার ভিডিয়ো রেকর্ড করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে গিয়েছিল ললিত।
এর আগেই, এই কাণ্ডে যুক্ত সাগর শর্মা, মনোরঞ্জন ডি, অমল শিন্ডে এবং নীলম দেবীকে গ্রেফতচার করেছিল পুলিশ। সাগর এবং মনোরঞ্জন সংসদের ভিতরে ঢুকে স্মোক বম্ব ফাটায়। একই সময়ে সংসদের বাইরে স্মোক বম্ব ফাটায় এবং স্লোগান দিয়েছিল বাকি দুজন।
এবার সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনার মূল অভিযুক্ত ললিত মোহন ঝা-কেও পাকরাও করল পুলিশ। কিন্তু, কীভাবে গ্রেফতার হল সে ?
দিল্লি পুলিশের প্রাথমিক তদন্ত অনুসারে, বুধবার ওই ঘটনার পর সেখান থেকে পালিয়ে একটি বাসে করে ললিত রাজস্থানের নাগৌরে পৌঁছেছিল। সেখানে সে তার দুই বন্ধুর সঙ্গে দেখা করে এবং এক হোটেলে রাত কাটায়। তবে, ললিত খুব তাড়াতাড়িই বুঝছিল, পুলিশ তাকে গরু খোঁজা খুঁজছে। কাজেই পালিয়ে রেহাই পাওয়া যাবে না। তাই সে বাসে করে দিল্লিতে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেয়।
বৃহস্পতিবার দিনভর ললিতের খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় ব্যাপক তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। পরে, ললিত ঝা নিজেই কর্তব্যপথ থানায় এসে আত্মসমর্পণ করে। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে এবং জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে।
দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলস ললিতের খোঁজে কলকাতার এক এনজিওর প্রতিষ্ঠাতা নীলাক্ষ আইচের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল।
বুধবারের ঘটনার পর, নীলম এবং অমলের স্লোগান দেওয়া, হলুদ ধোঁয়া ছাড়া এবং অবশেষে গ্রেফতার হওয়ার একটি ভিডিয়ো রেকর্ড করে এই নীলাক্ষর কাছেই পাঠিয়েছিল ললিত ঝা। ললিতকে ধরতে দিল্লি পুলিশের একটি দল কলকাতাতেও এসেছিল। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার, অন্য চারজনের সঙ্গেই সংসদে এসেছিল ললিত। কিন্তু, লোকসভার ভিতরে ঢোকার মাত্র দুটি পাস পাওয়ায়, তিনজন ভিতচরে প্রবেশ করতে পারেনি। তখন সাগর, মনোরঞ্জন, নীলম এবং অমলের মোবাইল ফোন নিয়ে নিয়েছিল ললিত। চারজনেরই ফোন তার কাছেই ছিল।
বৃহস্পতিবার, দিল্লির পাতিয়ালা হাউস কোর্ট চারজনকেই সাত দিনের জন্য পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে। পুলিশ যদিও তাদের ১৫ দিনের জন্য হেফাজতে চেয়েছিল। সাগর, মনোরঞ্জন, অমল এবং নীলমের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির বেশ কয়েকটি ধারা ছাড়াও, ইউএপিএর অধীনে অভিযোগ আনা হয়েছে। ইউএপএ-র অধীনে অভিযোগ আনা হলে জামিন পাওয়া যায় ন।