দেশেরসময় ওয়েবডেস্ক: কলকাতা পুর নির্বাচনের প্রচারে সবথেকে বড় চমক নিয়ে হাজির হয়েছিলেন অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়।
প্রচারের শেষলগ্নে তৃণমূলের হয়ে ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী অরূপ চক্রবর্তী, অরূপ বিশ্বাস এবং রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে দেখা যায় পরমব্রতকেও। কলকাতা পুর নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। ১৪৪টি আসনের মধ্যে ১৩৪টি আসন দখল করেছে তৃণমূল। জয়ের পরেই তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিলেন দলেরই ‘শুভাকাঙ্ক্ষী’ পরমব্রত।
একটি টুইটে পরম লিখেছেন, “জয়ের উল্লাসে বিরোধী পার্টি অফিসে তাণ্ডব এক্ষুণি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। একটাও যদি ঘটনা হয়ে থাকে তাহলে সেটাও নিন্দনীয়। বাংলার বর্তমান শাসকদলের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়েও একথা বলছি। আমি নেতাদের অনুরোধ করব, কর্মীদের থামান।”
Vandalising opposition party offices, after a resounding electoral victory, needs to stop, now! Even if it’s just one instance! And I’m saying this as a sympathiser of the current dispensation in Bengal. I urge leaders to stop cadres from such acts. It only blemishes the mandate.
— parambrata (@paramspeak) December 21, 2021
তবে এই টুইট করে পরম যেন বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, তিনি দলের অনুগত নন। অন্যায়টাকে অন্যায় বলতে তাঁর বিন্দুমাত্র অসুবিধা নেই।
মঙ্গলবার দুপুরের পরেই একটি ভিডিও দেখিয়ে সিপিএম নেতৃত্ব দাবি করেছিল, ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডে জয়ের আনন্দে তৃণমূল তাদের পার্টি অফিসে হুজ্জুতি চালাচ্ছে। বাইরে দিয়ে তালা মেরে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছিল শাসকদলের বিরুদ্ধে। ৯৮ নম্বর ওয়ার্ড ছিল সিপিএমের দখলে। এবার তৃণমূলের অরূপ চক্রবর্তীর কাছে সিপিএমের মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তী পরাজিত হন মাত্র ২৯৪ ভোটে। তারপরই গতকাল ওই ঘটনা ঘটে।
ঘটনা হল, পুরভোটে তৃণমূল প্রার্থীর হয়ে প্রথমবার প্রচারে বেরিয়েছিলেন পরমব্রত। গিয়েছিলেন এই ৯৮ নম্বর ওয়ার্ডেই। সেখানে তিনি বলেছিলেন, বিজেপিকে আটকে দেওয়ার জন্য তৃণমূলই এখন একমাত্র শক্তিশালী শক্তি। তাছাড়া এও বলেছিলেন, তিনি কোনও রাজনীতি করেন না তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করেন। তারপর বাম জনতার সমালোচনাও ধেয়ে এসেছিল পরমের দিকে।
প্রসঙ্গত, বুধবার নেতাজি নগরে টালিগঞ্জ ২এরিয়া কমিটির দফতর দখলমুক্ত করে সিপিএম। দলের জেলা কমিটির সদস্য সুব্রত দত্ত বলেন, “আজ সকালে আমরা আমাদের কর্মীদের আসতে বলেছিলাম। শতখানেক কর্মী-সমর্থক জড়ো হয়ে তৃণমূল যে তালা লাগিয়েছিল তা ভেঙে দিয়ে ভিতরে ঢুকেছি। এখান থেকে যেমন সাংগঠনিক কাজ পরিচালনা হতো তেমনই হবে।”
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ,একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই তৃণমূলের সঙ্গে পরমব্রতর ঘনিষ্ঠতা বাড়তে দেখা যায়। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের একাধিক কমিটির সঙ্গে যুক্ত তিনি।বিধানসভা নির্বাচনের পর গোটা বাংলা জুড়ে যে হিংসা ছড়াতে দেখা গিয়েছিল, তারপরও কেন চুপ ছিলেন অভিনেতা! তবে পুর নির্বাচনে প্রচারে সামিল হয়েছিলেন বলেই কি পরমব্রতর এই পদক্ষেপ!