দেশেরসময়, গাইঘাটা: রাজ্যে এখনও পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করা হয়নি ৷ নির্বাচনের দিন কবে ঘোষণা হবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই চলছে রাজনৈতিক জল্পনা। তবে এরই মধ্যে উত্তর২৪পরগনার গাইঘাটার ডুমা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় গেরুয়া শিবির তাদের দলীয় প্রতীক পদ্মফুল চিহ্নে ভোট দেওয়ার আবেদন জানিয়ে দেওয়াল লিখনের কাজ শুরু করল। যদিও এই বিষয়টি সামনে আসতেই সমালোচনা শুরু করেছে রাজ্যের শাসকদল
এই বিষয়ে বাগদার বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাস বলেছেন, “দেশের আইন বিজেপি-র জন্য আলাদা। নির্বাচন ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত কোনও দেওয়াল দখল করা যায় না। এটা ওরা জানবে কী করে। ওরা তো রাজনীতির সঙ্গে, মানুষের সঙ্গে নেই। ওরা শুধু মিডিয়ার সঙ্গে আছে। এটা ওদের একটা চক্রান্ত। ওরা বুথ কর্মী খুজে পাচ্ছে না, প্রার্থী কোথায় খুজে পাবে”!
বিধায়ক আরও বলেন, “আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই এলাকায় কোনও আসন পাবে না বিজেপি।” যদিও বিষয়টিকে এভাবে দেখতে রাজি নয় রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। স্থানীয় এক বিজেপি নেতা এই বিষয়ে বলেছেন, “এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে গাইঘাটা এলাকায় দুর্দান্ত ফল করব আমরা। কর্মী সমর্থকরা যথেষ্ট চাঙ্গা আছেন। আর সেই মনোবলকে আরও বাড়াতেই এই দেওয়াল লিখন শুরু করেছি। নির্বাচন কমিশনের সমস্ত নিয়ম কানুন মেনেই এই দেওয়াল লিখন করা হচ্ছে।”
সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন৷ সব রাজনৈতিক দলই মাঠে নেমে পড়েছে নিজেদের প্রচার করতে। আর গাইঘাটায এলাকায় বিজেপি কিছুটা হলেও যে এগিয়ে, সেটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে, রাজনৈতিকভাবে উত্তেজনাপ্রবণ এলাকা এই গাইঘাটা। গত ফেব্রুয়ারি মাসেই তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি-র মধ্যে সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল এই এলাকা।
সেই সময় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন ব্লক সভাপতিকে মারধর করার অভিযোগও উঠেছিল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। অপরাধীদের গ্রেফতারের দাবিতে রাস্তা অবরোধ পর্যন্ত হয়েছিল। সংঘর্ষের ঘটনায় দু’জনকে আটক করে পুলিশ। তাদের আটক করে এই ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু করে গাইঘাটা থানার পুলিশ।
যদিও বিজেপি এই ঘটনার কথা অস্বীকার করে। বলা হয়েছিল, সবটাই মিথ্যা কথা। পঞ্চায়েত নির্বাচন আসছে বলে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বাড়ছে। তার জেরেই এই হামলা।
এদিকে এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে এক মুহুর্ত দেরি করতে নারাজ গেরুয়া শিবির।