দেশের সময়, গাইঘাটা: মঙ্গলবার গ্রাম পঞ্চায়েতের ফল ঘোষণার পর দেখা গেল, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বনগাঁর বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের বুথে বিজেপি হেরেছে৷ সে বুথে জিতেছে তৃণমূল।
শান্তনু ও গাইঘাটার বিজেপি বিধায়ক সুব্রত ঠাকুরের বাড়ি গাইঘাটার ইছাপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪২ নম্বর বুথ এলাকায়। ওই বুথেই হেরেছে গেরুয়া শিবির।
তৃণমূল প্রার্থী রীতা মণ্ডলের কাছে হারলেন বিজেপি প্রার্থী শ্রেষ্ঠা মৃধা। ২৫৮ ভোটে জিতেছেন তৃণমূল প্রার্থী রীতা মণ্ডল।
যদিও এই হারকে ‘জালিয়াতি’ বলেছে বিজেপি। বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক দেবদাস মণ্ডল বলেন, ‘‘তৃণমূল রাতের অন্ধকারে জাল ব্যালট ছাপিয়ে জোর করে বিজেপিকে হারিয়েছে।’’ তাঁর দাবি, ব্যালট বাক্স থেকে পদ্মফুলে ছাপ দেওয়া ব্যালট পেপার শৌচাগারের পাশে ফেলে রাখা হয়েছিল।
পাল্টা তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘এটাই হওয়ার ছিল। নবজোয়ার যাত্রার সময়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে যে ভাবে হেনস্থা করা হয়েছিল, তার জবাব দিয়েছে মানুষ।’’
২০১৯ সালের লোকসভা থেকেই মতুয়াভূম কার্যত বিজেপির দখলে। তৃণমূল-বিজেপির লড়াই ঢুকে পড়েছিল ঠাকুর বাড়ির ভিতরেও। তৃণমূলের মমতাবালা ঠাকুরের বিরুদ্ধে শান্তনুকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। নাগরিকত্বের ইস্যু-সহ নানান বিষয় প্রচারে তুলে আনে গেরুয়া শিবির। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনেও উত্তর চব্বিশ পরগনা ও নাদিয়ার মতুয়া অধ্যুষিত এলাকায় তুলনামূলক ভাল ফল করে বিজেপি। পঞ্চায়েতের সার্বিক ফল প্রকাশের পর স্পষ্ট হবে এই এলাকায় কী করল বিজেপি। পুনরুদ্ধারে কতটা সফল হল তৃণমূল। যা আগামী বছর অনুষ্ঠিত হতে চলা লোকসভা ভোটের জন্যও অর্থবহ হতে পারে বলে মত অনেকের।