চেন্নাই থেকে বিমানে শ্রীলঙ্কা পৌঁছেছে পহেলগাঁও হামলার জঙ্গিরা? গোয়েন্দা সূত্রে ‘তথ্য’ পেয়েই তল্লাশি বিমানবন্দরে
জানা গিয়েছে, শনিবার মধ্যরাতে চেন্নাই থেকে শ্রীলঙ্কার এয়ারলাইন্সের একটি বিমান উড়ে যায়। সেই সময় ভারতীয় কর্তৃপক্ষের তরফে শ্রীলঙ্কার বিমানবন্দর সংস্থাকে ইঙ্গিত দেওয়া হয় যে, যাত্রীদের মধ্যে ছ’জন জঙ্গি হয়ত ছদ্মবেশে রয়েছে।
ভারতের গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, চেন্নাই থেকে বিমান ধরে শ্রীলঙ্কার কলম্বোয় পৌঁছেছে পহেলগাঁও হামলায় যুক্ত জঙ্গিরা। এমন খবর আসার পরেই সতর্ক করা হয় কলম্বো প্রশাসনকে। বিমানটি কলম্বোয় অবতরণ করার পরেই শুরু হয় তল্লাশি অভিযান।

শ্রীলঙ্কার এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, চেন্নাই থেকে কলম্বোয় আসা একটি বিমানে ছয় সন্দেহভাজন জঙ্গি রয়েছে— এমনই সতর্কবার্তা এসেছিল ভারত থেকে। তার পরেই ওই বিমানে তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। ‘শ্রীলঙ্কান এয়ারলাইন্স’-এর তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, তাদের ইউএল ১২২ বিমানটি শনিবার দুপুর ১১টা ৫৯ মিনিটে চেন্নাই থেকে কলম্বোয় আসে। সেটি অবতরণ করার পরেই শুরু হয় তল্লাশি অভিযান।

বিবৃতিতে জানানো হয়, ‘চেন্নাই এরিয়া কন্ট্রোল সেন্টার’-এর তরফে জানানো হয়, ভারতের ‘ওয়ান্টেড’ তালিকায় থাকা সন্দেহভাজন ওই বিমানে রয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এই বার্তা পাওয়ার পরেই স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখে তল্লাশি অভিযান চালায় শ্রীলঙ্কার নিরাপত্তাবাহিনী।

শ্রীলঙ্কার বিমান সংস্থাটির তরফে পরে জানানো হয়, বিমানটিতে তল্লাশি চালানোর পর পরবর্তী উড়ানের জন্য প্রস্তুত করা হয়। বিমানটি নির্ধারিত সময়ের বেশ কিছু সময় পরে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা দেয়। তবে যে সকল যাত্রীদের দেখে এই সন্দেহ হয়েছিল, তারা আদৌ পহেলগাঁওয়ের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কি না তা এখনও শ্রীলঙ্কার কর্তৃপক্ষ জানায়নি।

গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে বৈসরন উপত্যকায় জঙ্গি হামলা হয়। সেই হামলায় মৃত্যু হয় ২৬ জনের। হামলার নেপথ্যে লশকর-এ-ত্যায়বার হাত ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসে। কিন্তু হামলাকারী জঙ্গিদের খোঁজ পাওয়া যায়নি। পহেলগাঁও কাণ্ডের পর ভারত-পাক সীমান্তে নিরাপত্তা আরও আঁটসাঁট করা হয়। এর আগে সেনা সূত্রে জানা গিয়েছিল যে, দক্ষিণ কাশ্মীরেই আত্মগোপন করে রয়েছে ওই জঙ্গিরা।
